ব্ল্যাক স্পাইডার
ইভা উলঙ্গ হয়ে ৩ রাস্তার ট্রাফিক সিগনালে বসে আছে,
একদম রাস্তার মাঝখানে তখন ছিলো লাঞ্জ টাইম,সে রকম কোন যানযট না থাকায় ট্রাফিক পুলিশ শান্তি মতো একটু খেতে বসেছে পাশের খাবার হোটেলে,ইভা উলঙ্গ হয়ে বসে আছে কেউ তাকিয়ে দেখছে কেউ লজ্জায় মাথা নিচু করে যাচ্ছে,
আবার কেউ মোবাইল দিয়ে ভিডিও করছে,
খাবার হোটেলের পিচ্ছি ছেলে টা এসে ট্রাফিক পুলিশ লালন মিয়া কে খবর দিলো,স্যার জ্যাম লাইগা গেছে একটা একটা ম্যাইয়া নাকি রাস্তার মাঝে লেংটা হইয়া বসে আছে,,,
-কি বলিস ছোটু,সব দেখা যাচ্ছে তো।
-স্যার দেখতে হেব্বি।
-কি বলিস তাহলে ফ্রিতে একটু ব্লু ফিল্ম দেখে আসি,,,
লালন মিয়া খাবারের প্লেট রেখে পাগলা কুকুরের মতো ছুটে যায়,
দূর থেকে দেখে একটা মেয়ে বসে আছে ফর্সা,
লালন মিয়া কিছুক্ষণ তাকিয়ে দেখতে থাকে,
চোখের পলক আর পড়ে না,
কিন্ত ইচ্ছে হল কাছ থেকে দেখবে তাই হাটা শুরু করে কিন্ত আস্তে আস্তে পায়ের গতি বেড়ে যায় লালন মিয়ার
কারণ মুখ টা খুব পরিচিত লালন মিয়ার বড় মেয়ে ইভা,
কাছে যেতেই ইভা দেখে তার বাবা আসছে, ইভা বাবা কে ডেকে বলে বলে বাবা তুমি আমার কাছে এসো না,
বাবা তুমি মরে যাবে,কারণ পাশে রাখা টাইম বোমা,আর লালবাতি জ্বলে আছে,
--মা তোর এই অবস্থা কি করে হল(কাঁদতে কাঁদতে)
--বাবা এই গুলো তোমার পাপের ফসল,
লালন মিয়া আবার যখন দু,পা এগুতে যায় তখন ইভা চিৎকার দিয়ে বলে" না বাবা এসো না তুমিও মরে যাবে"
বাবা মেয়ের এমন আর্তনাদ দেখে রাস্তার মানুষ গুলো আরো ভীড় করে তাকিয়ে থাকে,
লালন মিয়া লোকজন কে বলতে থাকে,,, ভাই আপনারা চলে যান ঐ দিকে তাকাবেন না,আপনার ঘরে কি মা বোন নেই,
লালন মিয়া লোকজন কে যাওয়ার জন্য ঠেলতে থাকে,,,
দিশকুল না পেয়ে থানায় ফোন করে লালান মিয়া কিন্ত ফোন কেটে দেওয়ার সাথে সাথে ইভা পাশে রাখা ব্যাগ থেকে একটা ধারালো ছুরি বের করে আর ঠিক বুকের মাঝখানে ছুরি টা ঢুকিয়ে দেয়,
ইভা চিৎকার দিয়ে উঠে রাস্তার মানুষের চোখে পানি ছলছল করছে কিন্ত কেউ এগিয়ে আসছে না কারণ বোমা আছে,
ইভার নিশ্বাস প্রায় বন্ধ হয়ে আসছে,
ইভা এমন সময় ঢুকিয়ে দেওয়া ছুরি টা নিচের দিকে টান দেয় বুক টা তখন দুই ভাগ হয়ে যায় আর ইভা পড়ে যায়,
রক্তে রাস্তা রক্তাক্ত হয়ে গেছে মনে হচ্ছে মাত্র কেউ গুরু জবাই দিছে,
ইভার প্রায় নিশ্বাস বন্ধ কিন্ত এমন সময় এক হাত বুকের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দেয়,আর কলিজা টা টান দিয়ে বের করে ফেলে,
কলিজা টা হাতে নিয়ে উঁচু করে ট্রাফিক সিগনালের সিসিক্যামেরার দিকে তুলে ধরে আর মুচকি হেসে অপর হাতে রাখা ছুরি দিয়ে গলার শ্বাসনালীতে একটা টান দেয় আর সেখানেই শেষ আর টাইম বোমার টাইম আর লালবাতি নিভে যায়,
পুলিশ আসলো লালন মিয়া মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে আর চোখের পানি গাল বেয়ে পড়ছে,,
পুলিশ এসে লালন মিয়া কে ধমক দিয়ে বলল,কি রে লালু তোর আবার কি হয়েছে এটা কি নিয়ে বসে আছিস আবার রক্ত দেখা যায় কে Accident করলো,
তখন লালন মিয়া হাউমাউ করে ওসি আমিনুল ইসলাম এর পায়ে পড়ে যায় "স্যার আমার সব শেষ হয়ে গেলো স্যার আমি শেষ,
--আরে কি হয়েছে কি হয়েছে,ছাড় কি হয়েছে বল,
লালন মিয়া হাত দিয়ে দেখিয়ে দেয়, তখন ইভার লাশ টা কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিলো,
ওসি নিজেই কাপড় ফেলে দেয় ইভা কে দেখে ভয়ে ওসি দুপা পিছিয়ে যায়,
আর লালন কে বলে এটা না তোর মেয়ে,
এমন কি করে হলো,
লালন সব খোলে বলল।
লাশ টা রাস্তার মাঝখানেই পড়ে আছে কারণ এখানে বোমা আছে বোম স্কয়াট লাগবে তদন্ত করতে হবে,
ওসি আমিনুল লাশের দিকে তাকিয়ে আছে ঠিক এমন সময়
ইভার ব্যাগ একটা কালো স্পাইডার বের হলো,,, কিছুক্ষণ পর আরো কিছু স্পাইডার বের হলো একটু পর
লাইন ধরে কালো স্পাইডার বের হচ্ছে,,, পুরো লাশ টা স্পাইডারে ঢেকে গেছে স্পাইডার গুলো বিশাক্ত দেখেই বুঝা যাচ্ছে,,, ঠিক এমন সময় বাবা বলে ডেকে উঠে পিছন থেকে লালন মিয়ার কাছে বাবা ডাক চেনা মনে হচ্ছে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকাতেই দেখে ইভা,
ইভা দিব্যি দাঁড়িয়ে আছে ওসি আমিনুল ইসলাম হা করে তাকিয়ে আছে তাহলে এটা কে?ইভা যদি এখানে দাঁড়িয়ে থাকে।
Comments