অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কি ভাবে আয় করতে পারি।
এই আর্টিকেলে আমরা যেসব বিষয়ে আলোচনা করব-
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে প্রাথমিক ধারণাকিভাবে আগাবেন – অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর গাইডলাইন ও টিপসঅ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম নিয়ে কিছু কমন জিজ্ঞাসা ও সেগুলোর উত্তর
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি ?
প্রযুক্তিনির্ভর এই বিশ্বে মানুষের কেনাকাটার জন্য এখন আর বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন নেই। বাসা বা অফিসে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ই কমার্স সাইট থেকে কেনাকাটা করতে পারেন। অনলাইনে অর্ডারকৃত পণ্য ক্রেতার হাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেয় ইকমার্স প্রতিষ্ঠান। ই কমার্স সাইটগুলো তাদের পণ্যের প্রসারের উদ্দেশ্যে অ্যাফিলিয়েট সুবিধা দিয়ে থাকে। আর মার্কেটাররা এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে নিজেরা মার্কেটিং করে আয় করে। এটাই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। সহজে বলা যায়, আপনি অনলাইনে কোনো পণ্য বিক্রি করতে চাইলে সে প্রতিষ্ঠান আপনাকে তাদের পণ্যের একটা লিংক দিবে। আপনার দেয়া লিংকের মাধ্যমে কোন গ্রাহক যদি তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকে এবং পণ্য ক্রয় করে, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দেবে। এই কমিশনের মাধ্যমে অর্থ আয় করার মাধ্যকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
কি পরিমাণ অর্থ আয় করা যায় ?
এক কথায় বলতে গেলে আপনি কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং করবেন, আর আপনার মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল হলে সে কোম্পানি আপনাকে একটা সেলস কমিশন দিবে এটাকে মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। সুতরাং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ডিপেন্ড করে আপনার মার্কেটিং এর মাধ্যমে কি পরিমান সেল হলো তার উপর।
কেন শিখবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং?
ভালো মানের ইনকামঃ প্রথম দিকে ইনকাম কম হবে ধরে নিলাম আপনি তিন মাসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে কাজ শুরু করলেন আপনার আয় হতে পারে ২০০ থেকে ৩০০ ডলার, ছয় মাস পরে আয় ১০০০ ডলারের উপরে হবে। তবে বলে রাখা ভালো এই আয় নির্ভর করবে সম্পূর্ন আপনার কাজের উপর, আপনার কাজ ও পরিশ্রম যত ভালো হবে আপনার আয়ও তত ভালো হবে উপরের আয়ের সংখ্যাটা ধারণা দেয়ার জন্য বলা।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ উজ্জলঃ মানুষ যত বেশি অনলাইন ব্যাবহারে অভ্যস্ত হচ্ছে, অনলাইন বিজনেস তত বাড়ছে। আর তার সাথে সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজের পরিধিও বেড়েই চলেছে। এমনকি বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই , এখন অনেক বাংলাদেশি সাইট আছে যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অফার করে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার কৌশল
ওয়েবসাইট থেকে আয় এর ক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিনই বাড়ছে। একজন অ্যাফিলিয়েট হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সহজ বিধায় অনেকেই এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় এর বিষয়ে আগ্রহী। কীভাবে সহজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করা যায় তার উপায়গুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো :-
১। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে প্রবেশ করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য প্রথমেই আপনাকে এই মার্কেটে প্রবেশ করতে হবে। এর জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল-
ক) বিজনেস মডেল নির্বাচন করুন
দুই ধরনের বিজনেস মডেল আছে। প্রথমটি হলো রিসোর্স সাইট এবং দ্বিতীয়টি রিভিউ সাইট। যে পণ্য বা সার্ভিস নিয়ে আপনি কাজ করবেন সেটার সাথে আপনি কতটা পরিচিত তার ওপর নির্ভর করেই আপনাকে মডেল নির্বাচন করতে হবে।
রিসোর্স সাইটের অ্যাফিলিয়েট লিংকে সাধারণত ব্যবসায়ীর ওয়েবসাইট, ব্যানার অ্যাডভারটাইজমেন্ট দেয়া থাকে। কাস্টমারদেরকে ওয়েবসাইটমুখী করার জন্য এই বিজনেস মডেলটিকে সবসময় আপডেট রাখতে হয় এবং ফ্রেশ কনটেন্ট পোস্ট করতে হয়।রিভিউ সাইটে বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিসের রিভিউ দেয়া থাকে। প্রত্যেকটা পণ্য বা সার্ভিস রিভিউর লিংক বা ব্যানার অন্তর্ভুক্ত থাকে। যেখান থেকে কাস্টমার সহজেই ওয়েবসাইটে আসতে পারে। এই মডেলটার সুবিধা হচ্ছে এটাকে সচরাচর আপডেটের প্রয়োজন পড়ে না।
খ) ওয়েবসাইট তৈরি করুন
একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কাজ করার জন্য আপনার নিজস্ব একটা প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন ( নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগ) যেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দ করা পণ্য বা সার্ভিসের লিংক পোস্ট এবং অ্যাডভারটাইজ করতে পারবেন। আপনার যদি ইতোমধ্যেই একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে থাকে তাহলে সেই প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে একজন অ্যফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে অতিরিক্ত আয় শুরু করতে পারেন। আর যদি না থাকে তাহলে তৈরি করতে হবে।
ব্লগ এর সুবিধা হচ্ছে এটা ফ্রি অপারেট করা যায়। যেখানে কিছু ওয়েবসাইট ফি চেয়ে থাকে। যাইহোক, GoDaddy.com এবং Hostgator জাতীয় সাইটগুলো তুলনামূলক ভাবে স্বল্প মূল্য রাখে।একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কোন কোম্পানিতে যোগদান করতে চাইলে সেই কোম্পানি নির্বাচন করা উচিত যারা অনলাইন মার্কেটিংয়ে বিশেষজ্ঞ। MoreNiche এর মতো কোম্পানিগুলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজের পণ্য বা সার্ভিসের অ্যাডভারটাইজ করার প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে সহায়তা করে।নিজের ওয়েবসাইট না থাকলেও এমন কিছু ওয়েবসাইট আপনি পাবেন যেগুলো আপনাকে পে-পার-ক্লিক হিসেবে কমিশন দিবে। এক্ষেত্রে আপনি পণ্যের বিজ্ঞাপন লিংক নিজের ওয়েবসাইটে পোস্ট না করে ফেসবুকে পোস্ট করলে কেউ যদি সেটা ক্লিক করে তার ওপর আপনাকে পার্সেন্টেজ দেয়া হবে। Associate Programs, Affiliates Directory, E-commerce Guide এবং Link Share অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কগুলো এ ধরনের সুযোগ দিয়ে থাকে।
গ) লিংক অ্যাডের জন্য যথাযথ জায়গা নির্বাচন করুন
বেশির ভাগ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররাই একটা নির্দিষ্ট জায়গা বা বিশেষ সীমানা নির্বাচন করে নেয়। যেখানে পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞপন দিয়ে আয় করা যায়।
জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন কোনোটা নির্বাচন করার প্রয়োজন নেই যেখানে আপনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ বলে নিজেকে মনে না করেন। বরং এমন জায়গা নির্বাচন করা ভালো যেটাতে আপনার যথেষ্ট আগ্রহ আছে।শুরুতে যত্নবান হওয়াটা জরুরি। তাই জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমনটা নির্বাচন করা প্রয়োজন যেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে দীর্ঘক্ষণ কাজ করা যায়।
ঘ) পণ্য বা সার্ভিসপছন্দ করে নিন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য জায়গা নির্বাচনের পরেই আপনাকে আপনার পছন্দের পণ্য বা সার্ভিস নির্বাচন করে নিতে হবে।
নতুনদের জন্য Commission Junction কোম্পানি একটা আদর্শ প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। কারণ এটা ঐতিহ্যবাহী পণ্য বা সার্বিসের অ্যাডভারটাইজমেন্টে আগ্রহী।মার্কেটাররা যদি ই-বুক এবং সফটওয়্যার এর মতো ডিজিটাল কনটেন্টে আগ্রহী হয় তবে তাদের উচিত Amazon, Clickbank, E-junkie এবং PayDotCom এর মতো কোম্পানিগুলো নির্বাচন করা।Google, Adsense পে-পার- ক্লিক মার্কেটিংয়ের জন্য উপযোগী। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় এর ক্ষেত্রে পে-পার-ক্লিকে কম কমিশন পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে সুবিধা এই যে, এখানে খুব একটা অ্যাকটিভ অ্যাফিলিয়েট হবার প্রয়োজন নেই।
ঙ) অ্যাফিলিয়েটর খুঁজে নিন এবং তাদের সাথে কাজ করুন
অন্যান্য অ্যাফিলিয়েটদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনি আরো অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত হবেন। নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে এটি ভূমিকা রাখে। অ্যাফিলিয়েটদের সাথে নিম্নোক্ত যে কোন এক ভাবে যোগাযোগ করতে পারেন :-
ইমেইলের মাধ্যমে বা অন্যান্য ব্লগার অথবা অনলাইন মার্কেটারদের সাথে যোগাযোগ করে একে অন্যের পণ্যের অ্যাডভারটাইজ দিতে পারেন।বিভিন্ন ফোরাম বা যৌথ যোগাযোগ অথবা অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক ( যেমন : Clickbank অথবা Commission Junction) এর মাধ্যমে সফল অনলাইন অ্যাফিলিয়েটদের সাথে যেগাযোগ করতে পারেন।
চ) আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে ট্রাফিক ড্রাইভ করান
যখন আপনি একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করাবেন এবং নিরাপদ অ্যাফিলিয়েটদের সাথে কাজ করবেন তখন আপনাকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে ট্রাফিক ড্রাইভ করানোর প্রয়োজন পড়বে। অনেকগুলো পদ্ধতির মাঝে সহজ ও সফল একটি হচ্ছে, একটা ব্লগ পোস্ট বা ওয়েব আর্টিকেল লিখে সাবসক্রাইবারদেরকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে ইনভাইট করা। এছাড়াও আছে :-
অন্যান্য ওয়েবসাইটে ফ্রি কনটেস্টের আয়োজন করাভাইরাল মার্কেটিং ব্যবহার করাইতোমধ্যেই অনেক ট্রাফিক ড্রাইভ করা কোন ফ্রি লিংক ওয়েবসাইটে সিকিউর করা
২। আপনার বিজনেস ডেভলপ করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধীরে ধীরে আপনার বিজনেস ডেভলপ করতে হবে। আপনার অ্যাফিলিয়েট বিজনেসকে ভালভাবে ডেভেলপ করার জন্য যা যা করতে পারেন-
ক) নিজে স্টাডি করুন এবং অন্যান্য অ্যাফিলিয়েটদের থেকে শিখুন
একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে অভিজ্ঞতা এবং পরিচিতি অর্জনের দ্রুত এবং সহজ একটা পদ্ধতি হচ্ছে যে কোন অনলাইন কমিউনিটি বা ফোরামে যোগদান করা। এই অনলাইন রিসোর্সগুলোতে ফ্রি জয়েন করা যায়।
Digital Point, aBestWeb এবং Warrior Forum ফ্রি রিসোর্সগুলোর মধ্যে অন্যতম।
খ) সম্পর্ক স্থাপন করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে যথেষ্ট কাজ করতে হয় এবং তা ধৈর্যের সাথে। মার্কেটারকে অন্যান্য অ্যাফিলিয়েটদের সাথে অবশ্যই একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়।
আপনার অ্যাফিলিয়েট পার্টনার কোন ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা পছন্দ করে তা জানুন। একেকজনের কাজের ধরন একেক রকম থাকে এবং প্রত্যেকের যোগাযোগ রাখার পদ্ধতিও ভিন্ন ভিন্ন পছন্দের। প্রত্যেকের পছন্দের প্রাধান্য দেয়া আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।আপনার অ্যাফিলিয়েটের কী প্রয়োজন এবং আপনার কাছ থেকে তাঁরা কী আশা করে তা জানুন।আপনার অ্যাফিলিয়েটরা কীভাবে তাদের ওয়েবসাইট এবং সার্ভিসের উন্নতি করছে তা নিয়ে রিসার্চ করুন।আপনি আপনার প্ল্যাটফর্মটার কীভাবে উন্নতি করতে পারেন তা তাদের কাছে পরামর্শ চান।
গ) আপনার টার্গেটেড ট্রাফিক আকর্ষণ করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় এর জন্য অন্যদের কেবল নিজের ওয়েবসাইট ভিজিট করানোই যথেষ্ট নয়। আয় তখনি হবে যখন কেউ আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করবে। এর জন্য চারটা পদ্ধতি রয়েছে :-
পেইড অ্যাডভারটাইজিং: এখানে অ্যাড কপি, গ্রাফিক্স এবং উচ্চমানের ক্লিকযোগ্য লিংকের মিশ্রণ প্রয়োজন। Google’s AdSense এক্ষেত্রে কার্যকর।ফ্রি অ্যাডভারটাইজিং: Craigslist অথবা US Free Ads ইত্যাদি ফ্রি ওয়েবসাইটে লিংক এবং অ্যাডভারটাইজমেন্টে ফ্রি আয় করা যায়। এখানে কেউ আপনার লিংকে ক্লিক করলে আপনি এবং আপনার ওয়েবসাইট ( যেমন : Craigslist) উভয় ক্ষেত্রেই কমিশন যোগ হবে।আর্টিকেল মার্কেটিং: অনেক মার্কেটারই Ezine Articles এর মতো ওয়েবসাই ব্যবহার করে আর্টিকেল প্রকাশের জন্য। এখানে একটা আলাদা ‘resource box’ থাকে। অন্যান্য ব্লগার বা ওয়েবসাইট এই আর্টিকেল পুনরায় প্রকাশ করলে যে মার্কেটার প্রথম এটি প্রকাশ করেছিল সার্চ ইঞ্জিনে তার র্যাঙ্কিং হবে ওপরে।ইমেইল মার্কেটিং: এক্ষেত্রে মার্কেটার ওয়েবসাইট ভিজিটরদের জন্য একটা ইমেইল সাবসক্রিপশন অপশন রাখে। এখান থেকে মার্কেটার ভিজিটরদের নাম এবং ইমেইল অ্যাড্রেস পায় যা মার্কেটার এবং ভিজিটরের মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
নিশ সাইট থেকে আয় করবেন যেভাবেঃ
নিশ সাইটের জন্য যা দরকারঃ ১। কি-ওয়ার্ড রিসার্চ ২। একটি ডোমেইন নাম নির্বাচন করা ও হোস্টিং সেট আপ ৩। ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল ৪। মানসম্মত কনটেন্ট ৫। ভাল মানের ব্যাকলিংক তৈরি করা ৬। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ৭। দরকারি পেজ সেটআপ ৮। কাঙ্খিত কনভার্সন রেট
আপনি কী আশা করছেন সেটা জানুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য আপনাকে আপনার টার্গেট সেট করতে হবে। অর্থাৎ আপনি কী কী আশা করেন তা ঠিক করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি কী কী করতে পারেন তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল-
ক) বেশি পরিশ্রমী হতে আশা করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে এসে অনেকেই খুব দ্রুত ধনী হবার আশা করে। কিন্তু এখানে অনেক পরিশ্রমের প্রয়োজন, বিশেষ করে প্রথম দিকে। কিছু মার্কেটার আছে যারা দৈনিক ১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করে এবং সেটা সপ্তাহের সাত দিনই।
→ মনে রাখবেন, এই ক্ষেত্রটা অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক এবং অনেক মার্কেটিং কোম্পানি নিজস্ব মার্কেটার দিয়েই নিজেদের কোম্পানি পরিচালনা করে।
খ) এটা কীভাবে কাজ করে জানুন
একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের নিজস্ব আলাদা অ্যাফিলিয়েট লিংক থাকে। এটা কাস্টমারের ওপর কোন প্রভাব ফেলে না এবং এতে নির্ধারিত পণ্যের মূল্যও পরিবর্তন হয় না। কেউ যখন ওই লিংক ক্লিক করে নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে কোন পণ্য ক্রয় করে তখন অ্যাফিলিয়েট সেই ক্রয়ের কমিশন পাবে। অ্যাফিলিয়েট হিসেবে আপনি কতটা আয় করবেন তা ওই পণ্যের দাম এবং কমিশন পার্সেন্টেজের ওপর নির্ভর করবে।
গ) আপনার ডেমোগ্রাফি বুঝুন
একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে অবশ্যই আপনার একটা টার্গেট ডেমোগ্রাফি থাকবে। আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন এমন ভাবে দিতে হবে যেন টার্গেট ডেমোগ্রাফি সংখ্যক ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে।
ফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কিছু কমন প্রশ্ন ও উত্তর
✓ অ্যাফিলিয়েট হতে কত খরচ হবে?
আমাদের অ্যাফিলিয়েট হওয়ার জন্য কোন টাকা লাগবে না; সম্পূর্ণ ফ্রি-তে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন অ্যাফিলিয়েট
হিসেবে। এছাড়া এখানে কোন ন্যুনতম সেলস এর লিমিট নেই, যতটুক সেল করবেন ততটুকুর উপরই কমিশন পাবেন।
✓ আমি কত টাকা উপার্জনের আশা করতে পারি?
এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর। আপনার উপার্জন নির্ভর করছে আপনার সুপারিশকৃত সেলস এর উপর।
কত সময় দেয়া লাগবে এর পিছে?
এটাও সম্পূর্ণ আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করবে। যদি কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে দিনে কমপক্ষে ১-২ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে দেখতে পারেন। কেমন ফলাফল আসছে তার উপর ভিত্তি করা কম বা বেশি সময় দিতে পারেন।
কিছু জনপ্রিয় আফিলিয়েট ওয়েব সাইটঃ
5. Clickbank
প্রথমেই বলা হয়েছে যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে আপনাকে হতে হবে পরিশ্রমী এবং ধৈর্যশীল। এখানে একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হলে সময়ের প্রয়োজন। যথাযথ পরিশ্রম এবং কৌশল অনুযায়ী কাজ করলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করা অত্যন্ত সহজ।
Comments