top of page

আমাদের পক্ষে কি সকল মানুষকে খুশি করা সম্ভব?


অবশ্যই না।সকল মানুষকে খুশি করা কখনোই সম্ভব নয়।


মহাভারতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সর্বদা ধর্মচিত কার্য করেছিলেন এরপরেও দুর্যোধন,শকুনি,কংস,জরাসিন্ধুর কাছ থেকে সবসময় হিংসার শিকার হতে হয়েছিল।

এবং শেষে গান্ধারীর অভিশাপও গ্রহন করতে হয়েছিল।


যুদ্ধিষ্ঠির সর্বদা শাস্ত্র বিধি মেনে অহিংস এবং ধর্মচিত কার্য করলেও,কৌরবদের কাছ থেকে সবসময় হিংসাই পেয়েছিল।


সুতরাং শ্রীকৃষ্ণ,যুধিষ্ঠির কিংবা প্রভু রামের পক্ষেই যদি সকল মানুষকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব না হয়।তাহলে আপনি-আমি তো তাদের সামনে অতি নগন্য।

আমাদের পক্ষে সকল মানুষকে কিভাবে সন্তুষ্ট করা সম্ভব হবে....??


হাতের পাচ আঙুল যেমন সমান নয় সেই প্রকারে আমাদের সমাজের সকল মানুষও সমান নয়।ভাল-খারাপ মিলিয়েই আমাদের এই সমাজ।তাই আপনি যত ভাল কার্যই করুন না কেনো..!!আপনি চাইলেও সকল মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন না।


সমাজে এক শ্রেণির মানুষ এমন থাকবেই যারা আপনার ভাল কাজের কোন মূল্য দেবে না।হিংসা,লোভ,মোহ তাদের বিবেককে ধ্বংস করে দিয়েছে।অধর্মই তাদের স্বভাব।


ঈশ্বরের সন্তুষ্টির

সুতরাং কোন মানুষের সন্তুষ্টির জন্য নয়।

কার্য করতে হবে ঈশ্বরের সন্তুষ্টির জন্য।

কারন জগৎ পিতা সন্তুষ্ট হলেই আমাদের কার্য পূর্ণতা পাবে।একমাত্র ধর্মচিত কার্য দ্বারাই ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করা যায়।কারন আপনার ধর্মচিত কার্যের সুফল সমাজের অধিকাংশ মানুষই লাভ করবে।সুতরাং ১/২ ব্যাক্তি কি ভাবলো,না ভাবলো সেটা নিয়ে কখনোই সময় নষ্ট করা উচিত নয়।আপনার কর্মফল স্বয়ং ঈশ্বর আপনাকে প্রদান করবে,অন্য কোন ব্যাক্তি নয়।


আর তাই শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন- ফলের আশা না করে আমার প্রদর্শিত ধর্ম পথ অবলম্বন করে কার্য কর।


সুতরাং আমাদের উচিত বেদ-গীতা উক্ত ধর্মপথ অনুসরণ করে জীবন পরিচালনা এবং কার্য-নির্বাহ করা।আর আপনার এই ধর্মচিত কার্যের মূল্য কোন মানুষ না দিলেও স্বয়ং ঈশ্বর দেবেন।

Comments


Enjoy
Free
E-Books
on
Just Another Bangladeshi
By
Famous Writers, Scientists, and Philosophers 
click here.gif
lgbt-bangladesh.png
click here.gif

Click Here to Get  E-Books

bottom of page