আর্মি সরাও তাহলেই সব ঠিক !
- Just Another Bangladeshi
- May 15, 2019
- 1 min read

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে কিছুদিন পরপর সেক্যুলারকুলের জ্বালা শুরু হয়। এদের মাথার মধ্যে আছে সেই লেনিন কবে কইছিল “জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার” নামের ধারণা সেইটা নিয়া জাবর কাটে। কিন্তু এদের জিগান, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাটা কী বলেন তো? বলতে পারবে না আমি শিওর। সমাধান কী জিগান সবাই মাথা নাড়াইয়া কইবো, আর্মি সরাও, তাইলে সব ঠিক হইবো।
পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল সমস্যা হইতেছে বাকী বাংলাদেশের ক্যাপিটালিস্ট রিফর্মের সাথে যুক্ত হইতে না চাওয়া। খেয়াল কইর্যা দেখেন তাদের দাবী হইতেছে ভূমি বিষয়ে ১৯০০ সালের বৃটিশগো লগে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে ভূমি ব্যবস্থাপনা হইবে। তো সেইটা কোন কিসিমের ব্যবস্থা? সেইটা হইতেছে রাজা হইবে জমির মালিক, আর প্রজা হিসাবে তারা চাষাবাদ করবে। সারা বাংলাদেশ রিপাবলিক হইবে আর উনারা সেইখানে রাজতন্ত্র চালাইবেন, আর ফিউডাল বা সামন্তবাদী উৎপাদন চালাইবেন? এইডা কিছু হইলো? আজকের বিশ্বপরিস্থিতিতে এইটা কখনো সম্ভব? এইটা কী চীন আর হংকং পাইছেন, একই রাষ্ট্রে দুই ব্যবস্থা চালাইবেন? মডার্ন দুনিয়ায় ফিউডালিজম অচল মাল। আপনি চাইলেও ইতিহাসের গতি পাল্টায়ে দিতে পারবেন না। আর আমাদের বাংলাদেশের বেকুব বামপন্থীরা তাদের দাবীর এই ফিউডাল এলিমেন্ট সহই পাহাড়িদের সাপোর্ট দিতেছেন। আপনারা না ক্যাপিটালিজম পার হইয়া আরো অগ্রসর ব্যবস্থার নামে সমাজতন্ত্র চান। তো ক্যাপিটালিজম থিকা পিছায়ে যাওয়ার লড়াইরে সাপোর্ট করেন কেন?
পাহাড়িদের সমস্যার নিশ্চয়ই সমাধান দেয়া সম্ভব। এই সমাধান পাহাড়ি আর সমতলের উভয়ের জন্যই উইন উইন সিচুয়েশন হইতে হবে। কিন্তু তার আগে পাহাড়ি ভাইয়েরা আপনারা মাথা থিকা বিচ্ছিন্নতার ভূত তাড়ায়ে ভাবতে বসেন মাথা ঠাণ্ডা কইরা। এইসব আধা পয়সার বামদের উস্কানিতে ভুইলেন না। ডায়ালগ করেন এমন সমতলের রাজনৈতিক শক্তির লগে যারা চিন্তায় আধুনিক, দিন দুনিয়ার খবর রাখে আর মানুষের অধিকারের বিষয়ে সংবেদনশীল।
আসেন হিংসা বিভেদ আর রক্তপাতের রাস্তা ছাইড়া শান্তির আর সম্ভাবনার পথে পা বাড়াই।
Comments