আসলে কি আমরা মানুষ হতে পেরেছি?
আস্তিক, নাস্তিক, সংশয়বাদী সকলের ভিতরেই একটি সাম্প্রদায়িক, অগ্রাসি, হিংসাত্মক বোধ কাজ করে। সেই জায়গা থেকে বের হতে হলে আপনার নিরপেক্ষ মন মানসিকতা এবং চিন্তা চেতনা সৃষ্টি করতে হবে জ্ঞানের ভিতর। তাহলে আপনি একজন সঠিক যুক্তিবাদী এবং নিরপেক্ষ যুক্তিবাদী হিসাবে প্রকাশ করতে সক্ষম হবেন। (১)মানুষ হতে হলে যে গুণটি দরকার সেই বিষয়ে আলোচনা করবো মানুষের মতের দ্বিমত পোষণকারী কে বেশিরভাগ মানুষ জ্ঞানীহীন হিসেবে মনে করে থাকেন কেন। (২)এবং নিজের মতের সাথে কোন মতামত মিলে গেলেই আমরা তাকে জ্ঞানী হিসেবে আখ্যায়িত করি এটাই মানুষের সাধারণ স্বভাব। (৩)এই স্বভাব থেকে বাহির হতে হলে অথবা নিজেকে মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করতে হলে অথবা নিজেকে নিরপেক্ষ একজন যুক্তিবাদী হিসাবে প্রকাশ করতে হলে যে বিষয় গুলো খুবই জরুরী। আমরা যখন আমাদের মতের সাথে সাংঘর্ষিক কোন ব্যক্তির আলোচনা শুনি সাথে সাথে তার প্রতি আমাদের চিন্তা এমন ভাবে প্রকাশ করে সে একজন জ্ঞানহীন অথবা অথবা অপদার্থ বলে একটি বাক্য ব্যবহার করি। এবং তাকে বিদ্বেষ করে কটাক্ষ করে যেকোনো ঘৃণা আক্রোশমূলক বাক্য প্রকাশ করি.
তখনও আপনি মানুষ হতে পারেননি
অথবা কোন ব্যক্তি আপনাকে অযৌক্তিকভাবে একটি গালি দিয়েছে আপনি রেগে গিয়েছেন, তখনও আপনি বুঝতে হবে এখনো মানুষ হতে পারেনি।
মানুষ হতে হলে ধৈর্য সবার আগে প্রয়োজন,
এর জন্য আপনি চিন্তা করতে হবে যে কোন ব্যক্তির একটি যুক্তি অথবা কথা সেটা যতই অযুক্তিক হোক না কেন, সে কথাটি কে মূল্যায়ন করে পরবর্তী সমালোচনা করতে হয়, তার কথায় যদি সামান্যতম যুক্তি থাকে তবুও তাকে মূল্যায়ন করতে হবে।
উদাহরণস্বরূপঃপূর্বের মহান দার্শনিক এরিস্টটল, প্লেটো, সক্রেটিস এদের অনেক অযুক্তিক কথা আমাদের হজম করতে হয়েছে, তবুও তাদেরকে আমরা দার্শনিক এবং জ্ঞানী হিসেবে অবহেলা করি না করা উচিত নয়, কারণ জ্ঞানচর্চা ভুল থাকতে পারে কিন্তু সেই ভুলের অসঙ্গতি নিয়ে আমরা একজন মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে পারিনা।
তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য যে ব্যক্তিগণ করেন তারা আসলে মানুষ হতে পারবে কতটা যুক্তিক।
কিন্তু তার অযুক্তিক কথাটির পরিবর্তে আপনার যুক্তিক কথাটি সুকৌশলে উপস্থাপন করুন। এবং তার কথাটি কে মূল্যায়ন করে, আপনার কথাটি উপস্থাপন করুন।
এইভাবে বলুনঃ আপনার কথাটি খুব সুন্দর, কিন্তু আমি যে কথাটি বলতে চাই এটা কেমন হবে, যদি আপনার কথাটি উত্তম হয় অবশ্য সে বুঝতে সক্ষম হবেন।
সকল ক্ষেত্রে উত্তম প্রস্তাবটি মানুষ গ্রহণ করে
আপনি যদি প্রথমে তার কথাটি কে ওমূল্যায়ন করেন অথবা ত্রিশকার করেন অথবা বিদ্রুপ করেন তাহলে সে কখনো আপনার মতামতকে গ্রহণ করবে না।
আপনার প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হবে যত মূল্যবান কথাই বলেন না কেন।
তাই মানুষের মূল্যায়ন, ব্যক্তিটির কথার মূল্যায়ন দেওয়ার পরেই আপনার যুক্তিটি উপস্থাপন করতে হবে, মানুষ হওয়ার পথে, মানুষ হওয়ার চেষ্টা।
আলোচনা যুক্তিপ্রিয় মোঃ ইমরান হোসেন
Comments