এই কান্না শোনার কী কেউ নেই?
- Just Another Bangladeshi
- Mar 14, 2020
- 1 min read
হাত পা বাঁধা অবস্থায় যতিন্দ্র কুমার দাসের লাশ পাওয়া গেল নদী থেকে.
সিলেটের বিশ্বনাথে নিখোঁজ হওয়ার ৪দিন পর নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যতিন্দ্র কুমার দাস (৫৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা (দাসপাড়া) গ্রামের মৃত হরেন্দ্র কুমার দাসের পুত্র। গতকাল দুপুরে টেংরা গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাসিয়া নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত রবিবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১১টায় যতিন্দ্র কুমার দাস গ্রামের পার্শ্ববর্তী নদীর পাড়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি বাড়িতে না ফেরায় উনার পরিবারের লোকজন পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি সহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি শুরু করেন। নিখোঁজের ৪দিন পর গতকাল সকাল ১০টায় স্থানীয় লোকজন টেংরা গ্রামের পার্শ্ববর্তি বাসিয়া নদীর পানিতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যতিন্দ্র কুমার দাসের লাশ দেখতে পান। তাৎক্ষণিক লোকজন থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করে। ধারণা করা হচ্ছে, দুস্কৃতিকারীরা যতিন্দ্র কুমার দাসের হাত-পা বেঁধে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর গলা ও পায়ের সাথে মাটির বস্তা বেঁধে নদীর পানিতে লাশ গুম করার চেষ্টা করেছিল। চার কন্যা সন্তানের জনক যতিন্দ্র কুমার দাস নিহতের ঘটনায় টেংরা গ্রামে বিরাজ করছে শোকের ছায়া। নিহতের স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনদের কান্না আহাজারীতে ভারি হয়ে গেছে বাড়ির পরিবেশ। তাদেরকে স্বান্তনা দেওয়ার ভাষা পর্যন্ত হারিয়ে ফেলছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা।
শুধু কি নিহতের পরিবার বা পাড়া প্রতিবেশী শোকে কাতর??? এই হৃদয়বিদারক চিত্রগুলো পৃথিবীকে যেকোনো মানবিক হৃদয়ের মানুষের মনে নাড়া দিবে। অবিলম্বে এই হত্যাকান্ড রহস্য উদঘাটন হোক। সেইসাথে এই ঘটনায় জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দন্ড প্রদান করা হোক। পৃথিবীটা মানবের জন্য, দানবের জন্য নয়।।
নিলয় চক্রবর্তী।
১৩ই মার্চ ২০২০ ইং।।
Comments