কোরবানী কি ভণ্ডামি?
আব্রাহামের স্ত্রীরর নাম সারা,তিনি, নিঃসন্তানা ছিলেন l. হাগার নামক উনার একজন মিশরীয় দাসী ছিল l সারা সন্তান না প্রসবের ব্যর্থতা মুছতে ,তার দাসী হাগারকে আপন স্বামী আব্রাামের সহিত যৌন কর্ম করতে দেয়।হাগার গর্ভের সন্তান ইশ্মায়েল,যার অর্থ 'দুঃখ শ্রবণকারী',lযখন ইশ্মায়েল জন্ম হয় তখন আব্রাহামের বয়স,৮৬ বছর ছিল lযখন আব্রাহামে (লিঙ্গাগ্রচর্মছেদন ) হল তখন তার বয়স ৯৯বছর ছিল এবং ইশ্মায়েল১৩বছর বয়সে l,তারা তখন বের-লহয়-রোয়ি নামক স্থানে বাস করতেন.l লিঙ্গাগ্রচর্মছেদন পর আব্রাহামের ১০০বছর বয়সে পুত্র ইস্হাক এর জন্ম হয় l.ইস্হাক এর ৮দিন বয়সে (লিঙ্গাগ্রচর্মছেদন )করা হয়, l.ইস্হাকের নামের অর্থ"হাস্য" l,করণ বুড়ো কালে সন্তান জন্ম নিয়ে সবাই হাসাহাসি করত l,আর যে দিন,ইস্হাক,মা সারার স্তন পান করা ছেড়ে দেয়, সেই দিন আব্রাহাম মহাভোজের আয়োজন করে l সেই ভোজ অনুষ্ঠানে হাগারের সন্তান ইশ্মাইলকে ঠাট্টা বিদ্রূপ করতে দেখে সারা আব্রাহামকে বলে, "তুমি এই দাসী হাগার ও তার সন্তান ইশ্মাইলকে তাড়িয়ে দাও,l কারণ দাসীর সন্তান ইশ্মাইল, আমার সন্তান ইস্হাকের সমানাধিকারী হবে, তা আমি কখনও মেনে নেব না" l,এর পর আব্রাহাম সকালে উঠে রুটি ও পানিপূর্ণ কূপা দাসী হাগার এর কাঁদে এবং সন্তান ইশ্মাইলকে হাতে ধরিয়ে দিয়ে বিদায় করে দেয় l হাগার ইশ্মাইলকে নিয়ে অনেক দূর যাওয়ার পর কূপlর পানি শূন্য হয়ে যায় l তখন সে ইসমাইলকে অর্ধ মৃত অবস্থায় কোন এক ঝোপের নীচে রেখে জীবিত্ব কুপ খোঁজতে থাকে l একটি জীবিত কূপের সন্ধান পাওয়ার পর তিনি ইশ্মালকে নিয়ে ঐ স্থানে বসতি স্থাপন করে l,ঐ স্থানের নাম পারণ l,.পারণে ইশ্মাইল ধনুর্বিদ্যা অর্জনের মাধ্যমে বড় হয়ে উঠে,l,তার মা হাগার মিশর থেকে একটি মেয়ে এনে তার সাথে বিয়ে দেয়.lআব্রাহাম তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর থেকে আর কোন খোঁজ নেয় নি l,তাহলে এ ইশ্মাইলকে ঘিরে কোরবানীর কথাটা কোথা থেকে এল,??অন্যদিকে হাগার এবং ইশ্মাইলকে আব্রাহাম তার সংসার থেকে তাড়িয়ে দেওয়া নিয়ে সবার মনে প্রশ্নের দানা বাঁধে ,বিতর্কের ঝড় উঠে,কি ভাবে এক জন ভাববাদী লোক এই রূপ হীন কর্ম করতে পারল। তখন আব্রাহাম জনসম্মুক্ষে কোন উত্তর না দিতে পেরে এ গল্প আবিস্কার করে,'দুজন দাস কে সাথে করে, ইসহাক কে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার জন্য নিয়ে যায়,l তিন দিন চলার পর আব্রাহাম একটা পাহাড়ের কাছে উপস্থিত হয়ে দাসদের গাধার সাথে ঐস্থানে অপেক্ষা করতে বলে ,(স্থানটির নাম,''যিহোবা-যিরি) গাধার পিঠ থেকে কাঠের আটি নিয়ে ইসহাকের কাঁদে দিয়ে,এবং আগুনের আটি এবং খড়গ নিজ হাতে নিয়ে তিনি(আব্রাহাম) এবং ইসহাক পাহাড়ের চূড়ায় চলে যায়' l ,কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে,দাসদের কাছে যে গল্পের বর্ণনা দেয় তা এরকম 'আমি আমার পুত্র ইসহাকে বাঁধিয়া বেদিতে কাঠের উপর রাখিলাম,l আমি আমার,হাত প্রসারিত করে আপন পুত্র ইস্হাকে কর্তন উদ্দেশ্যে খড়গ গ্রহন করিলাম,iএমন সময় আকাশ থেকে সৃষ্টিকর্তার দূত আমাকে ডেকে বলল,l ''আব্রাহাম,যুবকের প্রতি তুমি কোন কিছু করনা,তুমি যে সৃষ্টিকর্তাকে ভয় কর এবং ভালবাস আমি তা বুঝলাম,lআমাকে তোমার **একমাত্র সন্তান **(অদ্বিতীয়পুত্র )দিতে ও না করনি '' ,তখন আমি পিছন দিক তাকাতেই দেখি ,একটি ভেড়া ঝোপের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে lপরে আমি ভেড়াটিকে আপন একমাত্র সন্তানের পরিবর্তে বলিদান করলাম lএ গল্প আবিষ্কারের উদ্দেশ্য হল সবাইকে বুঝানোর জন্য যে উনি সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কাউকে ভালোবাসেন না l , আসলে তিনি ইস্হাককে ভালবাসেন l কারণ, সারা {sarah} আব্রাহামের শুধু স্ত্রীই নয় আপন বোনও ,l.আর ইস্হাক সারা এর গর্বের সন্তান [ পাঠকদের বুঝার সুবিধার জন্যে আর একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিলাম,তা হলো,আব্রাহামের সব কিছুর পেছনের শক্তি এক মাত্র *সারা*l দাসদাসী,সম্পদ ,সম্মান, *সারা*ই আব্রাহামের ঈশ্বর যিহোবা l,*সারা* গরারের রাজা অবীমেলকের কাছ থেকে এসব অধীকার করে,, আব্রাহাম*সারা*কে রাজা অবীমেলকের কাছে দিয় দিয়েছিলেন এক রাতের জন্য যৌনকর্মে l হাগার,রাজা অবীমেলকে দেওয়া দাসী। ] তখন যে স্থানে আব্রহাম বাস করতেন সে স্থানটির নাম,'বের-শেবা'(জেনেসিসঃ২০-২১)l l তাহলে এ ইশ্মাইলকে ঘিরে কোরবানীর কথাটা কোথা থেকে এল,??
দোখা যাক কোরআন কি বলে ?
সুরা সফফাত : আয়াত : ১০০-১১২)
১০০)অতঃপর সে বললো, হে আমার মালিক ! আমাকে একটি নেক সন্তান দান কর ”১০১)এর পর আমি তাকে একটি ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম ১০২) সে যখন তার পিতার সাথে দৌড়াদৌড়ি করার মত বয়সের অবস্থায় উপনীত হল তখন সে ছেলেকে বললো হে বৎস, আমি স্বপ্নে দেখি, আমি যেন তোমাকে যবেহ করছি*,বল এবেপারে তোমার অভিমত কি ?**”স্বপ্নের কথা শুনে সে বললো হে আমার স্নেহ পরায়ণ আব্বাজান ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি অবিলম্বে তা পালন করুন, , ইনশাআল্লাহ আপনি এ সময় ও আমাকে ধৈর্যশীদের মাঝে পাবেন”১০৩) অতঃপর যখন তারা পিতা পুত্র দুজনেই আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার সামনে আর্ত সমর্পণ করলোএবংসে তাকে যবেহ করার উদ্দেশ্যে কাত করে শুইয়ে দিল ৷১০৪)তখন আমি তাকে ডাক দিয়ে বললাম হে ইব্রাহিন১০৫) তুমি আমার দেখানো স্বপ্ন সত্য প্রমাণ করেছ৷ *আমি তোমাদের উভয়কে মর্যাদাবান করব,মূলত আমি সৎকর্মকারীদেরকে এভাবেই পুরস্কৃত করে থাকি৷**১০৬)এটা ছিল তাদের উভয়ের জন্যে একটা সুস্পষ্ট পরীক্ষা মাত্র ”১০৭)এ কারণেই আমি তার ছেলের পরিবর্তে আমার নিজের পক্ষ থেকে একটি বড় কোরবানির জন্তু সেখানে দান করলাম ।১০৮) এবংঅনাগত মানুষদের জন্যে এ বিধান চালু রেখে তার সরণ আমি অব্যাহত রেখেদিলাম,১০৯) শান্তি বর্ষিত হোক ইবরাহীমের প্রতি৷১১০) আর এভাবেই আমি নেক বান্দাদের পুরস্কৃত করে থাকি৷ ১১১)অবশ্য সে ছিল আমার মুমিন বান্দাদের একজন ১১২)কিছুদিন পর আমি তাকে এ মর্মে ইস্হাকে জন্মের সুসংবাদ দান করলাম যে সে হবে নবী এবং নেক বান্দাদের একজন ll,তাহলে এ মিথ্যা গল্প দিয়ে সুরা সফফাত :রচনা করার কারন কি ছিল?তাহলে কি ওহী বহন কারী ভুলে গেছে মূল গল্প?অথবা আল্লাহ নিজেই জানতেননা যে যাকে যবেহ করার জন্যে কাত করে শুয়ে দেওয়া হল তার নাম,তার বয়স কত ছিল?নয়তো বা মুখস্থবিদরা,রচনা করার সময় বলতে ভুলে গেছে যে,কোন স্থানে এসব ঘটেছিল,এমনও হতে পারে এ মিথ্যা কথা গুলো নিয়ে কেউ প্রশ্ন করলেই তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিয়ে মাথা কেটে দেওয়া হবে,তাই মিথ্যে হোক আর সত্য হোক সবাইকে মানতে হবে,নিশ্চয় এটা একটা ঘৃণিত সন্ত্রাসবাদ আল্লাহ যখন মানুষের গোশত খেতে ইচ্ছে হলো,কি আর করা?নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা। [ সুরা সাফফাত ৩৭:১০৬]
বুঝতে পারছিনা এই কোরবানির রক্তপাত, কালীর পাঁঠাবালির রক্তপাত ঈশ্বরের কি প্রয়োজনে আসে?
সনাতনীদের পাঁঠাবলি, মুসলিমদের কোরবানি
এই প্রাণী হত্যার হিংস্র কুসংস্কার শুধু মাত্র মাংস খাওয়ার ভণ্ডামি নয় কি?
Comments