কালো জাদু ফার্জিয়ার গল্পঃ ২য় পর্ব
- Just Another Bangladeshi
- Mar 3, 2015
- 2 min read

কিন্তু ফকির বাবা এটা যে আমার সন্তান।আর আমার গর্ভের সন্তানকে আপনি কাজে ব্যবহার কিকরে করবেন?
-সেটা আমার ওপর ছেড়ে দে।আগে বল তুই রাজি কিনা।
ফার্জিয়া মাথা নিচু করে বসে থাকে কিছুক্ষন।তারপর ফকির বাবা রাহমান সাহেবকে বলতে শুরু করে..
-ঠিক আছে।আমি রাজি বাবা।আপনি শুধু বলুন কি করতে হবে আমায়।
রাহমান ফকির ফার্জিয়াকে বসিয়ে রেখে তার ঘরের ভেতরে গেলেন।খানিক বাদে হাতে কিছু একটা নিয়ে ফিরে আসে।
-এটা কী ফকির বাবা?
-এটা মন্ত্রপূত সূচ।আজ থেকে প্রতিদিন মধ্যরাতে এই সুচটা দিয়ে তুই নিজের গর্ভে আঘাত করবি।
ফকির বাবার কথা শুনে ফার্জিয়া যেন হা হয়ে গেলো।
-আপনি কী বলছেন এটা?এই সূচ দিয়ে আঘাত করলে আমার মৃত্যু যে নিশ্চিত।
ফার্জিয়ার কথা শুনে ফকির বাবা হো হো করে হেসে উঠলেন।
-আপনি তামাশা করছেন আমায় নিয়ে।
-মূর্খ ৴আমি কি বলেছিলাম স্মরনে নেই?এটা মন্ত্রপুত সূচ।তুই এটা দিয়ে গর্ভে আঘাত করলে নিজে টেরও পাবি না।কষ্ট পাবে তোর গর্ভের সন্তান,আর তোর সন্তানের আঘাত মানেই শত্রুর আঘাত।কী মগজে ঢুকলো কিছু?
-আমি বুঝে গেছি বাবা।এবার আমি নিজেই নিজের কাজ করতে পারবো।
-ঠিক আছে,আর শোন।ভূলেও নিজের সন্তানের জন্য দরদ দেখাতে যাস না।যদি দেখাস তবে ভেবে নিবি তোর শত্রু বেচেঁ গেলো।
-আপনায় আপনাকে আর কিছু বলতে হবে না বাবা।এবার অনুমতি দিন।
-যা।আর সূচটা সাবধানে রাখবি।যাতে অন্য কারোর হাতে না পড়ে এটা।তবে কিন্তু হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।
ফার্জিয়া ফকির বাবার আস্তানা থেকে সোজা নিজের বাসায় চলে গেলো।
বাসায় ওর শ্বশুর শাশুড়ী, স্বামী ফারিজ, ফারিজের প্রথম পক্ষের স্ত্রী আইরিন।
ফার্জিয়া বাসায় ঢুকতেই আইরিনের সামনে পড়ে।
-কী ব্যাপার বোন।এভাবে আমাদের না বলে কোথায় গিয়েছিলে তুমি?
-এইতো আর কোথায় যাবো আপা।একটু মেডিকেল চেকাপের জন্য গিয়েছিলাম।
-তুমি একাই মেডিকেল চেকাপের জন্য চলে গেলে।আমায় বা ফারিজকে তো বলতে পারতে একবার।
-কি যে বলেন আপা।তার কী আর আমার জন্য সময় থাকে।
-তা না হয় বুঝলাম।কিন্তু তোমার আমাকে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন ছিলো।ঠিক আছে এবার আম্মা দেখার আগে আর কোনো কথা না বলে ঘরে চলে যাও।
-ঠিক আছে আপা।
মুচকি হেসে ফার্জিয়া ওপরের ঘরে চলে যায়।
ফার্জিয়া অপেক্ষা করতে লাগলো কখন রাত হবে আর সে তার কাজ শুরু করে দেবে।কিন্তু আজ সময় যেন তার সাথে বেঈমানি শুরু করে দিয়েছি।কিছুতেই কাটতে চাইছে না।।।।
রাত প্রায় সাড়ে বারোটা।
ফার্জিয়া ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলো বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা। ভালোকরে চারপাশটা দেখে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে দেয় সে।এবার তার কাজটা শুরু করতে হবে।
ফার্জিয়া ফকির বাবার দেয়া সেই সূচটা বের করলো।পেট থেকে শাড়িটা সরিয়ে নিলো।
একটা মোমবাতির আলোতে সূচের আগ্রভাগটা ভালো করে গরম করে নিলো।তারপর চোখ বন্ধ করে সূচটা নিজের পেটের ভেতরে ঢুকিয়ে দিলো।
ফার্জিয়া অপেক্ষা করছে কখন একটা আর্তচিৎকার তার কানে ভেসে আসবে।
একটু পর আইরিনের ঘর থেকে একটা চিৎকারের আওয়াজ ভেসে আসে।
-আরে কী হলো তোমার।এত রাতে এভাবে চিৎকার চেচামেচি কেন করছো?(ফারিজ)
-আহ কিছু বুঝতে পারছি না।পেটটা ছিড়ে গেলো আমার।আহ!মাগো....কি যন্ত্রনা।
ফার্জিয়া আইরিনের চিৎকারের আওয়াজ শুনে দ্বিগুন খুশি হয়।
-সবে তো শুরু।এবার চরম আঘাতের জন্য প্রস্তুত হও আপা।
ফার্জিয়া সজোরে নিজের পেটের সূচটা ঢুকিয়ে দিলো।
Comments