top of page

কালো জাদু ফার্জিয়ার গল্প ৫ম পর্ব


তারিফ সূচের অগ্রভাগটা পুতুলটার গলা বরাবর ঢুকিয়ে দেয়,এরপর ক্রমাগত একের পর এক আঘাত করতে থাকে।।

পুতুলটার ঘাড়ে বুকে বেটে আঘাত করতে থাকে।তারিফ দেখতে চায় তার স্ত্রী ফার্জিয়ার ওপর কোনো প্রভাব পড়ে কিনা। যদি সেটা হয় তবে তারিফের সন্দেহ বিশ্বাসে পরিণত হবে।কিন্তু সেরকম কিছুই লক্ষ্য করছে না তারিফ।

একবার বরং ফার্জিয়ার কক্ষে গিয়ে দেখা যাক।যদি কোন ক্লু পাওয়া যায়।তারিফ চুপি চুপি ফার্জিয়ার ঘরের দিকে যায়।ঘরের ভেতরে ঢুকেই অবাক সে।

ফার্জিয়া ঘরে কোথাও নেই।চারপাশটা ভালো করে খুঁজে দেখে তারিফ।না,বাড়ির ভেতরে ফার্জিয়া আছে বলে তো মনে হচ্ছে না।

একটা কাজ করা যাক, তারিফ বরং একটা ফোন করে দেখতে পারে।যদি কোনো খোঁজ পাওয়া যায়।

কিন্তু না,ফোন করেও লাভ হলো না।বার বার কলটা রিজেক্ট করে দিচ্ছে।

এতো রাতে ফার্জিয়া কোথায় যেতে পারে এটাই ভাবিয়ে তুলছে তারিফকে।।

অনেক চিন্তা ভাবনার পর একটা উপায় খুঁজে পেলো তারিফ।যদিও তার ইচ্ছা নেই নিজের স্ত্রীর ওপর পুলিশের মত নজরদারি করার।এই মূহুর্তে এটা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

তারিফ ফার্জিয়ার ফোন নম্বরটা ট্রেস করার চেষ্টা করছে।

লোকেশনটা মেইন শহর থেকে অনেকটা দূরে।প্রায় এগারো কিলোমিটার।

এতটা দূর পথে তাও এতো রাতে ফার্জিয়ার কী এমন কাজ থাকতে পারে।নাহ আর অতশত ভাবলে চলবে না।একটা জ্যাকেট জড়িয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে তারিফ।এদিকে ফকির বাবার কুঠিতে.....

-বাবা আমি একটা বিপদে পড়ে গেছি।আপনি বাচান আমায়।

-বিপদ।কিসের বিপদ?

-আমার স্বামী....ও ও ও ও ও

-আরে কী হয়েছে তোর।যা বলার ভালোকরে বল।

-তারিফ,আমার স্বামী তারিফ সব জেনে গেছে।ঐ পুতুলটা ওর হাতে পড়ে গেছে বাবা।আমি এখন কী করবো।

-কী করেছিস এটা তুই?ইচ্ছে করছে এক্ষুনি শেষ করে ফেলি তোকের

-আপনি কোন একটা উপায় বলে দিন বাবা।ও নিশ্চয়ই এতোক্ষনে পুতুলটার ব্যবহার করে ফেলেছে।আর আমি আপনার কুঠিতে আছি বলে তার কোন প্রভাব পড়েনি আমার ওপর।

-আরে থাম।আমায় ভাবতে দে।

-কিছু একটা করুন বাবা।

-আমি যা বলবো করতে পারবি তো?

-কি বাবা?

-তোর সন্তানের থেকে নিশ্চয়ই নিজের স্বামীর প্রানের মায়া বেশি নয়?

-কী বলতে চাইছেন আপনি?

-নিজের স্বামীকে মারতে পারবি তো?

-বাবা......

-এতো বাবা বাবা করিস না মূর্খ।আজ রাতেই তোর স্বামীকে শেষ করে দিতে হবে।নইলে তুই তো বাঁচবিই না আর তোর কারণে আমার এই কালোজাদুর কুচক্র ফাঁস হয়ে যাবে।এটা আমি কিছুতেই হতে দেবো না।

-কিন্তু কিভাবে মারবো আমি তাকে?

-এই ছুড়িটা নে।এটা একটা মন্ত্রপূত ছুড়ি।

-এটা দিয়ে কী হবে?

-আমার গলাটা কাটবি......আর কি করবি...

ছুড়িটা দিয়ে তোর স্বামীর প্রান নিতে হবে আর সেটা আজ রাতের মধ্যেই।এই ছুড়ি দিয়ে কাউকে একবার আঘাত করলে তার মৃত্যু নিশ্চিত।

-ঠিক আছে বাবা।আমি তাই করবো।

-ঠিক আছে।এখন পালা এখান থেকে।আর কাজটা শেষ করে আমায় জানাস......

তারিফ লোকেশনটা খুঁজতে খুঁজতে ফকির সাহেবের কুঠির কাছাকাছি চলে আসে।

ধীরে সন্তর্পণে কুঠির ভেতরে ঢুকে পড়ে সে।


コメント


Enjoy
Free
E-Books
on
Just Another Bangladeshi
By
Famous Writers, Scientists, and Philosophers 
click here.gif
lgbt-bangladesh.png
click here.gif

Click Here to Get  E-Books

bottom of page