জ্বিনের সাথে বিয়ে ৩য় পর্ব
- Just Another Bangladeshi
- Aug 1, 2017
- 2 min read
গাড়ীটার থামার সাথে সাথে আমার বুক ধুকধুক
করছে। যত জলদি সম্ভব বাবার কাছে যেতেই
হবে।
এদিকে গাড়ীটাও এমন জায়গায় থেমেছে যে
যেখানে সব কিছু থমকে গেছে।
চারদিকে কেউ নেই। শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার।
গাড়ির ড্রাইভার বলল- "স্যার গাড়িতে পানি লাগত। ইঞ্জিন
গরম হইয়া গেছে গা"
রিয়াজ বলল, পানি নিয়ে আসতে ড্রাইভারকে। কিন্তু
ড্রাইভার বলল আমার ভয় লাগছে।
রীতি মত আমার ড্রাইভারের উপর প্রচণ্ড রাগ উঠল
নিজের ভয় লাগছে।
আর রিয়াজ কে বলছে পানি আন তে!!!!
আজব রিয়াজ ও সমাজসেবকের মত পানি আনতে
চলে গেল এত বললাম যেও না।
তাও আমার কথা শুনল না।
ড্রাইভারের সাথে দিয়ে চলে গেল।এক তো ঐ
ভয়ে উপর দিয়ে এক পুরুষের সাথে আছি সেই
ভয় যত হোক পুরুষ তো যদি মনে কোন ফন্দি
আসে।
আমি ত আয়তুল কুরসি পড়তে শুরু করলাম।
আমি গাড়ির ভিতর এ বসা। আর ড্রাইভার গাড়ি থেকে
দূরে সিগারেট খাচ্ছে।
হঠাৎ ওইরকম একটা বাতাস আমার কানে লাগল
যেন বলছে
তাবাচ্ছুম আমি তোমার কাছে আসছি।
কথাটা শোনার সাথে সাথে আমি রিয়াজের চিৎকার
শুনলাম।
আমি তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে বের হলাম।ড্রাইভারকে
ডাক দিলাম-"আমি রিয়াজের কন্ঠ শুনেছি,ওর মনে হয়
বিপদ হয়েছে একটু এগিয়ে দেখ"
আমার কথা শুনে ড্রাইভার বলল
--না, ম্যাডাম ভুল শুনেছেন। আমি কিছুই শুনি নাই
বারবার বল্লাম একটু এগিয়ে দেখতে কিন্তু অসভ্য
ড্রাইবার কিছুতেই আমার কথা শুনল না।
পরে যেন নিজের মনেই সাহস করলাম যাওয়ার
রিয়াজের জন্য যেন সাহস এসে গেল।
যখনি এক পা দুই পা করে যেতে লাগলাম দেখলাম
রিয়াজ সামনে থেকে আসছে
আমি ছুটে রিয়াজকে গিয়ে জড়িয়ে ধারলাম।
রিয়াজ ও আমাকে অনেক শক্ত করে জড়িয়ে ধরল
যেন অনেক বছর পর দেখা।
পরে আমরা আবার আমাদের যাত্রা শুরু করলাম।
গ্রামে যেতে যেতে ফজর হয়ে গেল। বাসায়
গিয়ে দরজায় টক্কা দিলাম। রিয়াজ আমাকে বলল...
-তাবাচ্ছুম তুমি যাও আমি মিষ্টি নিয়ে আসছি।
আমি তাই আগে এসে পড়েছি। দরজা আমার
ছোটভাই খুলেছে।
আমি নুহাশকে দেখে রীতিমত কান্নাই করে দিলাম।
অনেকদিন পর ওর সাথে দেখা হয়েছে।
নুহাশকে বাবার কথা জিজ্ঞেস করলাম ও বললল বাবা
নাকি ফজরের নামাজ পড়তে গেছে। কিছুক্ষণ পর
রিয়াজ আসল মিষ্টি নিয়ে।
রিয়াজ এসে নুহাশকে দেখে প্রথমে চিন্তেই
পারে নেই
বিষয়টা অবাক করার কেন না বিয়ের সময়
নুহাশের সাথে রিয়াজ ভালো ফাজলামো করেছে।
হয়ত নুহাশ একটু লম্বা হয়েছে।
রাত্রে ঘুম হইই নেই তাই আমি আর রিয়াজ একটু
ঘুমাতে গেলাম।
আর আমি ত যেন হাজার রাত ধরে
ঘুমাই নেই মনে হয় তাই একটু শান্তিতে ঘুমাতে
গেলাম।
আমার ঘুম যখন ভাঙল তখন শুনি যোহর এর আজান।
আমার সাথে রিয়াজ ও ঘুমাচ্ছে। রিয়াজ কে আর উঠায়
নেই আমি উঠে ফ্রেশ হলাম।
তারপর বাবাকে দেখলাম বাবাকে গিয়েই জড়িয়ে
ধরলাম। বাবা আমাকে দেখে কেদে দিল। বলল...
--মারে, তোকে অনেক মনে করেছি।
--তাহলে আমার বিয়েই দিলে কেন?
--দূর বোকা, জামাইবাবা শুনলে কি বলবে।
রিয়াজ ঘুমাচ্ছে এই ফাকেই আমি বাবাকে সব বললে
দিতে চাইলাম।
যখনি বাবাকে বলব, তখনি রিয়াজ আমাকে ডাক দিল।
কিন্তু বাবার সামনে গেল না। আমি ভাবলাম পরে কথা
বলব। কিন্তু যখনি বাবার সাথে কথা বলতে যাই তখনি
রিয়াজ আমাকে ডাক দেয়। এমন কি
ও বাবার সাথে দেখা পর্যন্ত করে নেই।খাবার রুমে
বসে খেয়েছে। আজব ব্যপার। কিন্তু বাবা রাত্রে
নিজেই রিয়াজের সাথে দেখা করতে আসল।
রিয়াজকে দেখে বাবা অনেক্ষন চেয়ে রইল
পরে আমাকে বাবা একটা ঠাস করে চড় দিল।
রিয়াজ রাগে গর্জে উঠল। বাবা রিয়াজকে বলল...
--চুপ, আমি আমার মেয়েকে মাড়ব তোর কি?
আমি কিছুই ভাবতে পারছি না কি হল হঠাৎ!"!!
বাবা এই প্রথম আমার গায়ে হাত উঠিয়েছে আমি কান্না
করে দিলাম।
বাবা আমাকে জিজ্ঞেস করল..৭৭৭
--তাবাচ্ছুম তোর তাবিজ কোথায়?
--বাবা, বাবা হারিয়ে গেছে
--কিভাবে হারাল??
--বাবা বিয়ের দিন
--তুই জানিস সাতদিন বসে এই তাবিজ বানাতে হয়
এটা বলেই বাবা চলে গেল
আমি রিয়াজের সামনে কান্না করতে লাগলাম। আর
রিয়াজ আমাকে সান্তনা না দিয়ে দাঁড়িয়ে রইল
সবকিছু আজব লাগছে আমার কাছে।

লেখাগুলো অসাধারণ হয়েছে ।
আপনার সবগুলো পোস্টই দুর্দান্ত…
লেখাটি সত্যিই অনেক মজার ছিল
ধন্যবাদ ভাই। খুবই ভালো আর্টিকেল
আপনার সবগুলো পোস্টই দুর্দান্তলাগে দাদা ,,,