জ্বিনের সাথে বিয়ে ৪র্থ পর্ব
- Just Another Bangladeshi
- Sep 5, 2017
- 3 min read

তাবাচ্ছুম, তোর তাবিজ কোথায়?
--বাবা, বাবা হারিয়ে গেছে
--কিভাবে হারাল??
--বাবা বিয়ের দিন
--তুই জানিস সাতদিন বসে এই তাবিজ বানাতে হয়
এটা বলেই বাবা চলে গেল
আমি রিয়াজের সামনে কান্না করতে লাগলাম। আর
রিয়াজ আমাকে সান্তনা না দিয়ে দাঁড়িয়ে রইল
সবকিছু আজব লাগছে আমার কাছে।
.
রিয়াজ আমার কান্না দেখে শুধু দাঁড়িয়ে ছিল। আর
বলছে, কান্না করো না তাবাচ্ছুম দেখ
যে তোমাকে কাঁদিয়েছে তার ভাল হবে না।
আমি ওর কথা শুনে ওর দিকে চুপ করে তাকিয়ে
ছিলাম।
ও এটা কি বলল??? তারপর ওতো খেয়াল করি নাই ওর
কথায়। বাবার কাজে বেশি কষ্ট পেয়েছি। তাই বুক
ব্যাথায় ভরে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর নুহাশ আসল!
বলল....
-আফা, তোকে বাবা ডাকে।
আমি রাগে ছিলাম তাই বল্লাম
-যা,আমি যাব না।
নুহাশ চলে গেল।আবার কিছুক্ষণ পর নুহাশ আসল
আবার বলল যে বাবা ডাকছে।
আমি অভিমানে আবার বললাম যে, যাব না। নুহাশ এবার
হাত টেনে নেওয়ার জন্য জোড় করছে। তখনি
রিয়াজের কি যেন হল রিয়াজ নুহাশকে চড় মেরে
দিল।
চর অত জোড়ে মারে নেই কিন্তু নুহাশ উরে
যেয়ে বুকশেল্ফ এর উপর পড়ল।
নুহাশের মাথা থেকে রক্ত পড়তে লাগল। নুহাশের
এই অবস্থা দেখে আমি আমার মাথা ঠিক রাখতে
পারলাম না।
রাগে মাথায় আগুন
জ্বলতাসে তাই আমি রিয়াজকে ইচ্ছামত বকে দিলাম
আর বললাম, "বের হয়ে যাও"
রিয়াজ আমার কথা শুনে, রুম থেকে বের হয়ে
গেল।
আমি নুহাশকে বেন্ডেজ করে দিলাম।
কিন্তু আজব ব্যপার, নুহাশ অনেক কান্না করছে এমন
কি নুহাশের গালে শিমুলের হাতের ছাপ পড়ে
গেছে।
এত আস্তে চড়ে এত কিছু?? আমার মাথা কাজ করছে
না।
ছোট ভাইয়ের এই অবস্থা দেখে নিজের কষ্ট
ভুলে গেলাম।
নুহাশ কান্না থামিয়ে বলল...
--আফা, বাবা বলছে বাবার কিছু হইলে বাবার নামাজ ঘরে
যেতে হবে।
আমি নুহাশের কথা শুনে অবাক।বাবা কখনো কাউকে
নামাজ ঘরে যেতে দেয়নি।
সেই ছোটবেলা হতে তাই দেখছি।
এমন কি বাবা নামাজ ঘরে তালা মেরে রাখে।
আজ এটা বাবা নুহাশকে কেন বলল??
কিছুক্ষণ পর বাবার চিৎকার শুনলাম-আমি আর নুহাশ ছুটে
গেলাম।
যেয়ে দেখি বাবা মাটিতে পড়ে আছে বাবার একটা
হাত ঝলসে গেছে। বাবা মাটিতে পড়ে আছে মুখ
বেকে গেছে।
একটা মেয়ের কাছে তার বাবার এই অবস্থা কত টা
কষ্টকর তা ভাষায় ব্যক্ত করা অসম্ভব।
আমি বাবাকে গিয়েই জড়িয়ে ধরলাম।
বাবাকে আমি আর নুহাশ উঠালাম
বাবা যেন কি বলতে চাচ্ছে কিন্তু বলতে পারছে না।
বাবা শুধু আমার হাতে একটা চাবি দিল।
তারপর বাবার শরীর অচল হয়ে পড়ল। আমি যেন
এক সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে আছি যার কোন
তীর আমি দেখছি না।
এসেছিলাম বাবার কাছে উত্তর নিতে আর এখন
প্রশ্ন হয়ে গেসে সব কি করব আমি??
বাবার এমন অবস্থাও কেন হল। আর রিয়াজও রাত হয়ে
গেছে এখনো আসে নেই।
যখন ওকে বেশি দরকার তখনি ও নেই আমার কাছে।
কিছুক্ষণ পর রিয়াজ আসল। রিয়াজ আসতেই আমি ওর
কাছে ছুটে গেলাম ওকে জড়িয়ে ধরে সব
বললাম
কিন্তু ও ঠান্ডা কন্ঠে বলল
সব ঠিক হয়ে যাবে বলে ঘরে চলে গেল।
আমি যেন এক অন্য রিয়াজকে দেখছি এত বড় ঘটনা
আর ও শুধু এই কথা বলে চলে গেল
রাত্রে আমি, নুহাশ বাবার সাথে ঘুমালাম
আর রিয়াজ অন্য রুমে।
রাত্রে আমি আবার ওই এক সপ্ন দেখলাম তখনি
নুহাশের চিৎকার
--আফা, বাচাও ভুত।
আমি ছুটে নুহাশের কাছে চলে গেলাম।
নু্হাশ ভয়ে কোন কথাই বলতে পারছে না।
শুধু হাত দিয়ে রিয়াজের ঘর দেখিয়ে দিচ্ছে।
আমি একটু সাহস করে রিয়াজের ঘরে গেলাম
দেখলাম
ও ঘুমাচ্চে।
তাহলে নুহাশ কেন ওকে দেখাচ্ছে??
আমি কিছুই বুঝছি না।
আমি নুহাশকে বাবার সাথে রেখে দিয়ে রিয়াজের
কাছে গেলাম।
রিয়াজের রুমে গিয়ে আমি শাড়ি বদলাতে নিলাম
নুহাশকে খাইয়ে দিতে যাওয়ার সময় ডাল শাড়িতে
পড়ে যায়।
যখনি শাড়ি খুলতে নিলাম তখনি আমি অই বাতাস টাকে
অনুভব করলাম আমার কোমড়ে হাত দিয়েছে।
আমি নিজেকে সাম লিয়ে পিছনে তাকালাম দেখি
রিয়াজ।
হ্যা রিয়াজ ওর হাতের ছোয়া আজ এমন কেন
লাগল??
রিয়াজ আমার কাছে আরো আসার চেষ্টা করল আমি
রিয়াজ কে এক ধাক্কা দিয়ে ওই শাড়ি নিয়ে বের
হয়ে বাবার কাছে চলে গেলাম।
বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলাম।
কিছুই বুঝছি না আমি কি করব??? তখনি আমার শাড়ির
আচলে আওয়াজ কিসের জানি আওয়াজ করছে দেখি
চাবি, হ্যা বাবার দেওয়া চাবি বাবা দিয়েছিল।
কিন্তু কিসের চাবি বুঝতে পারছি না। চাবির উপর আল্লাহ
নাম লিখা
তাও বুঝতে পারছি না কিসের চাবি?? কি করব??
বাবা ত সর্ম্পুন শরীর অচল। তখনি দেখলাম বাবা
চোখের পানিতে চোখ ভিজিয়েছে।
আমি বাবাকে বললাম বাবা তুমি আমার কথা বুঝতে
পারলে দুইবার চোখের পলক দাও। বাবা তাই করল।
আমার যেন মনে হলল আল্লাহ আমাকে একটি রাস্তা
দেখিয়েছেন। বাবাকে বললাম বাবা আমার কথা যদি হ্যা
হয় তাহলে দুইবার চোখের পলক ফালাবে আর না
হয় তাহলে একবার
--বাবা এটা কি আমাদের বাড়ির চাবি??
বাবা দুইবার পলক
--বাবা, এটা কি তোমার রুমের চাবি??
একবার পলক
--নুহাসের ঘরের?
একবার পলক
--আমার ঘরেরর?
একবার পলক
আমি যেন বেদিক হয়ে গেছি তখন মনে পড়ল
নুহাসের কথা নামাযের ঘর
-বাবা, নামাজের ঘরেরর??
দুইবার পলকক
তার মানে এটা নামাজ ঘরের চাবি।
যখনি এই কথা বলললাম তখনি যেন
আমার কানে ওই খারাপ বাতাস লাগল বলছে
-তাবাচ্ছুম ভুল করছ
আমি যেন ভয়ে বুক কেপে উঠলো।
আপনার লেখা গুলোতে বাস্তবতা ফুটে উঠে।
সুন্দর লিখছেন….
লেখাটি সত্যিই অনেক মজার ছিল
সত্যিই খুব অবিশ্বাস্য কাহিনী
আমার খুবই ভালো লাগে আপনার লেখা গুলো পড়ে