তেলরঙের এই পেইন্টিং এর নাম " গড গিভিং বার্থ"
তেলরঙের এই পেইন্টিং এর নাম " গড গিভিং বার্থ" এখানে গড কোন পুরুষ নয়, একজন নারী এবং সে সন্তান জন্ম দিচ্ছেন।
১৯৬৮ সালে মোনিকা সজুর আঁকা ১৮৫/১২২ সেন্টিমিটারের পেইন্টিং দক্ষিণ পশ্চিম শিল্প উৎসবে উঠলে পুরুষ এবং ধর্ম উভয়ের জন্য হুমকি স্বরুপ হয়ে ওঠে।
এবং দ্রুত এই পেইন্টিং নামিয়ে ফেলা হয়, তাছাড়া মোনিকার আর কোন পেইন্টিং শহরে প্রদর্শিত হওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
সুইডেনের এই নারী তার ন্যাচারাল হোম বেসড ডেলিভারির অনুভূতিতে তার শরীরকে যেভাবে আবিষ্কার করেছেন, একইসাথে যে বিপুল যন্ত্রণা ও মাহাজাগতিক এক শক্তির আস্বাদ পেয়েছিলেন তাকেই এই পেইন্টিং এর মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন…
অথচ পুরুষতান্ত্রিক পৃথিবী ও তাদের ধর্ম কোনটাই নারীর একটা পেইন্টিং গ্রহন করার মতো শক্তিও রাখে না, কেননা তারা জানে সত্য আসলে কি! তাদের নিজেদের দুর্বলতা বেরিয়ে আসার ভয় তারা অনুভব করেছেন নারীর এই কস্মিক শক্তির সামনে।
আসলেই কিছু পুরুষ অসহায়, ভীতু, আত্মশক্তি সম্পর্কে তার ধারণা শূন্য। সে কেবল অন্যের অর্থাৎ নারীর উপর প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে চায়, তা সে রেপ করে হোক, মুখে এসিড ছুঁড়ে হোক, কিংবা তার পেইন্টিং নিষিদ্ধ করে হোক….
সূত্র: দ্রৌপদীদের ইতিকথা ও ভারতবর্ষের নারীরা.
Comentarios