নারীর সন্মান শুধু একটি দিনের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়
জগতের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে স্ত্রী ও পুরুষ উভয়েরই সমান অবদান। যতটা পরিশ্রম একজন পুরুষ সংসারকে সমৃদ্ধ করতে করেন ঠিক ততটা পরিশ্রম একজন স্ত্রী ও করেন সংসারকে সুন্দর করতে। তাহলে কি করে সংসারে একজন প্রধান ও অপরজন ছোট হতে পারে?
আমাদের ধর্ম তো তা বলে না।
নারীর সন্মান শুধু একটি দিনের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়... তাই আলাদা করে বিশেষ কোন দিনে তা প্রকাশ করাটা আমার কাছে যুক্তিপূর্ণ নয়।
.
যদি প্রকৃতপক্ষে নারীকে তার ন্যায্য অবস্থান দিতে হয় তবে সেটা শুরুটা হোক নিজের ঘর থেকে...প্রতিটি বোন থাকুক নিরাপদে, প্রতিটি মা থাকুক শ্রদ্ধায়, প্রতিটি স্ত্রী থাকুক আত্মমর্যাদা নিয়ে। তবেই নারীকে সমাজকে আলাদা করে তুলে ধরার প্রয়োজন হবেনা।
দুঃখজনক, বহুকাল পূর্বে যে সন্মান আমাদের ধর্মে নারীরা পেয়ে এসেছিলেন কালের চক্রে, আজ যে সন্মান মেয়েদের সমাজের কাছ থেকে চেয়ে নিতে হচ্ছে...
.
ঋগ্বেদ ১০।১৫৯।২ তে আছে,
.
"অহং কেতুরহং মূর্ধাহমুগ্রা বিবাচনী।
মমেদনু ক্রতুং পতিঃ সেহানায়া উপাচরেৎ।।"
.
অর্থাৎ : আমি জ্ঞানবতী, গৃহে মুখ্য স্থানীয়া ধৈর্য্যশালিনী, বক্তৃতাকারিনী ও শত্রুনাশিনী। আমার পতি আমার অনুকূলে থাকিয়া গৃহকর্ম সম্পাদন করুন। ঋগ্বেদ ১০।১৫৯।২
.
অথচ এযুগে এসে, নারীদের বিভিন্ন ভুল বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে নিজের স্বরূপ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।
তাই শুধু অধিকার পেতে নয়, নারী হিসেবে নিজের কর্তব্য জানতেও আমাদের বেদের আলো প্রয়োজন।
.
আলোকিত হোক প্রতিটি নারী বেদের আলোকে... জ্ঞানের আলোকে
শুধু নারী নয়... সকলকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা
Comments