ফ্ল্যাশব্যাk
"ওদের কি কোনভাবেই বাঁচানে সম্ভব না??" ঝড়ো বৃষ্টির ভিতর চিৎকার করে বললো কিভ।
"একদমই না। আমাদের এখানে দাঁড়ানো নিরাপদ নয় । আমাদের ধরে ফেলা কেবল সময়ের ব্যাপার।" কিভের সাথে থাকা স্যামন জবাব দিলো।
থেকে থেকে বাঁজ পড়ছে। দূরে গুঁটিকয়েক কিছু লোকের উপর প্রায় কয়েকশো মানুষ হামলে পড়েছে! হ্যাঁ...একসময় ওরা মানুষই ছিলো! আজ আর নেই! মরণঘাতী ভাইরাস ফিনিক্সের কাছে আজ মানবজাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত প্রায়.....
দ্রুত ডেটোনেটর বের করলো স্যামন। এখনই ব্লাস্ট করতে হবে। নাহলে এখানকার লুকিয়ে থাকা নিরপরাধ মানুষগুলোকে এই ফিনিক্স ভাইরাস বাহী জীবন্মৃত মানুষগুলো আক্রান্ত করে ফেলবে!
বাটনে প্রেস করলো স্যামন। অসহায়ের মত তাকিয়ে আছে কিভ। এক্স মিলিটারি হয়েও এই অসুস্থ মানুষগুলোর জন্য কিছুই করতে পারছেনা সে। প্রতিষেধক যেখানে অবান্তর, মৃত্যু সেখানে অনিবার্য!! ফিনিক্সের কোন এন্টিডোট নেই....
ফ্ল্যাশব্যাং এর মত আলোর ঝলকানি দিয়ে মৃদু শব্দে তুমুল একটা ব্লাস্ট হলো!! কয়েকশো জনের জটলা ছিটকে এদিক ওদিক বিক্ষিপ্ত হলো। নিরাপদ দূরত্বে থাকার পরেও কিভ আর স্যামন উড়ে গিয়ে পড়লো আশে পাশে। তীব্র সাদা আলোর একটা বেষ্টনি ঘিরে ধরলো কিভ কে!! জ্ঞান হারাবার আগমুহূর্তে কিভ দেখলো, স্যামনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে অসুস্থ নৃশংস মানুষেরা.......
***********
তীব্র রোদের প্রখরতা চারপাশে!! চোখ মেলতে পারছেনা কিভ। মাথার ভেতরটা দপদপ করছে! পিটপিট করে তাকাতে তাকাতে কিছুটা উঠে বসলো সে।
মরুময় অঞ্চল...অনেক দূরে পাহাড়াকার ডাস্টবিন নজরে পড়লো কিভের! আর নজরে পড়লো একটা ভুট্টা ক্ষেত, বিশালাকার অদ্ভুত এক লোক সেখানে কাজ করছে!!! কোথায় এসে পড়লো সে??!!!!
অদ্ভুত লোকটা ক্ষেত থেকে উঠে দাঁড়ালো। কাঁধে একটা ঝুড়ি। লোকটা লম্বায় প্রায় আট ফুট হবে!!! পেশীবহুল বিশাল দেহ! গায়ের রঙ কালচে বেগুনি!! এ যেন অন্য কোন গ্রহের লোক!!!
হাতে কিছু ভুট্টা নিয়ে লোকটা কিভের দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো!! কিভ কি করবে বুঝতে পারছেনা।। শরীর অসাড় হয়ে আছে...
"কোন সালে ছিলে তুমি" মেঘের আওয়াজ যেন আঘাত হানলো লোকটার স্বরে!! কিভের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!!
"দু....দু হাজার তেরাশি (২০৮৩) সালে!!" লোকটার গুরুগম্ভীর স্বরে চমকে উঠলো কিভ!
"হুম!!! ঠিকই আছে তাহলে। মানবজাতি আবার ব্যর্থ হলো। তা নাহলে তোমার এখানে আসার কথা নয়।" চিন্তিত হয়ে বললো আগন্তুক কৃষক।
"আপনি কে?? এটা কোন জায়গা? আমি এখানে কিভাবে এলাম আপনি জানেন মনে হচ্ছে?" কিভ জিজ্ঞেস করলো।
"তুমি কোন না কোন ভাবে একটা পোর্টালে ঢুকে গিয়েছিলে। সেটা তোমাকে আমার কাছে এনে ফেলেছে। তোমরা তোমাদের ব্যর্থতা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারছিলেনা, সেটা তোমাদের কোথায় নিয়ে এলো?? এই আমার কাছেই...." রহস্যময় মুচকি হাসি দিলো আগন্তুক!!
"কে আপনি?!! আমি এখানে কেন এলাম বলুন?"
"হা...আমিই সেই, যাকে পুরো ইউনিভার্সের জনসংখ্যা কে অর্ধেকে নামিয়ে আনার জন্য তোমরা দায়ী করে থাকো!! আমি মহাপরাক্রমশালী "থ্যানোস"!!!" দুই হাত চারপাশে ছড়িয়ে উদ্ধত ভঙ্গিতে বললো আগন্তুক!!
প্রচন্ড ধাক্কা খেলো কিভ!! কার সামনে দাড়িয়ে আছে সে!! এ তো সাক্ষাৎ মৃত্যু!!! এ বেঁচে আছে কিভাবে??!
"কি ভাবছো?? আমি কিভাবে বেঁচে আছি?? এই ব্রহ্মান্ডে হাজার হাজার ইউনিভার্স আছে,যাকে তোমরা মাল্টিভার্স বলো। কোন এক ইউনিভার্সে আমাকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু এই ইউনিভার্সে আমি জীবিত!! এভাবে হাজারো ইউনিভার্সে আমি হয়তো এখনো বেঁচে আছি।"
চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে কিভ। মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে!!
"তোমার মনে অনেক প্রশ্ন। এসো আমার কুঁড়েঘরে। তোমাকে জবাব দিবো আমি। কারণ আমি অনুতপ্ত। "
ধীর পায়ে একটা শীর্ণ ঘরের দিকে এগুতে লাগলো থ্যানোস। তাকে অনুসরণ করলো কিভ।
একটা বড় পাতিলে কিছু পানি নিয়ে তাতে ঝুড়ি থেকে কয়েকটা মিষ্টি আলু ফেলে চুলার আগুনে বসিয়ে দিলো থ্যানোস। ঘরের এক কোণে গিয়ে ক্লান্ত ভাবে বসলো।
"আমার জন্মস্থান ছিলো টাইটান ।" বলতে শুরু করলো থ্যানোস। "জ্ঞান বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং এর স্বর্গ ছিলো টাইটান। কিন্তু অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে ধ্বংস হচ্ছিলো টাইটান। যখন আমি বললাম এর জনসংখ্যা অর্ধেক করতে হবে, তখন সবাই আমাকে পাগল বলে বিতাড়িত করলো। আমার এই চিন্তা আমাকে ম্যাড টাইটানে পরিণত করলো ঐ ইউনিভার্সে। টাইটানের ধ্বংসের মূল কারণ এর অধিক জনসংখ্যা।"
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে এক মূহুর্ত চুপ থাকলো থ্যানোস। "তুমি পৃথিবীর কেন জায়গা থেকে এসেছো? নাম কি?" কিভকে জিজ্ঞেস করলো।
দাঁড়িয়ে ছিলো কিভ। "আমি কিভ।এসেছি বাংলাদেশ থেকে।" বসতে বসতে জবাব দিলো সে।
"আমরা এখন কোন জায়গায় বসে আছি বলতে পারবে? এই জায়গাতে অনেক বছর আগে একটা নদী ছিলো। নাম বুড়িগঙ্গা!!! পাহাড় সমান ময়লার আস্তর সরিয়ে আমার ভুট্টা আর মিষ্টি আলুর ক্ষেত এর উপর করেছি!!জমিনে নদী না থাকতে পারে, কিন্তু এর উর্বরতা নষ্ট হয়নি!!"
হতবাক হয়ে শুনছে কিভ!! ঘাম বের হতে লাগলো কপাল থেকে!
"তোমাদের জনসংখ্যা তোমাদের উপর অভিশাপ বয়ে এনেছে। ক্ষুধা, দারিদ্রতা তোমাদের করেছে বিপর্যস্ত। আমিও এমনটাই ধারণা করছিলাম যে পুরো ইউনিভার্স এই অধিক জনসংখ্যার দরুন এসব সমস্যার সম্মুখীন হবে। আমার টাইটান ধ্বংস হয়ে গেছে। বাকি ইউনিভার্সকে বাঁচানোর জন্যই আমি ঐসব ইনফিনিটি স্টোনগুলোর ব্যবহার করেছিলাম।"
"কিন্তু তাই বলে ঐ ভাবেই সেটা করতে হবে? নিরপরাধ মানুষগুলোর জীবনের কি কোন মূল্য ছিলোনা??" প্রশ্ন করলো কিভ।
"আমার কাছে তখন যেটা সঠিক মনে হয়েছিলো, আমি সেটাই করেছি। একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। একই সিদ্ধান্তে সঠিক এবং ভুল ছিলাম আমি। এই বার্ধক্যে এসে আমার এখন সেটা মনে হয়। হয়তো অন্যভাবেও এই ব্যালান্সটা করা যেতো।"
"পুরো ইউনিভার্স আপনাকে এজন্য মাফ করবেনা থ্যানোস।" রেগে গিয়ে বললো কিভ।
"শোনো, আমার কারণে ঐ ইউনিভার্সে জনসংখ্যার ব্যালান্স হয়তো হয়েছে, কিন্তু অন্যান্য ইউনিভার্সে তোমরা কি করেছো? অধিক জনসংখ্যা পরিবেশ ধ্বংস করেছে, দারিদ্রতা বাড়িয়েছে, লোকজনের মুখে খাবার দিতে ব্যর্থ হয়েছো তোমরা। আমি আর আমার ইনফিনিটি স্টোন,এগুলা তো মেটাফর মাত্র। তোমার ইউনিভার্সে আমার চেয়েও জঘন্য চিন্তা ভাবনা করার মত কয়েক শ্রেণীর লোক আছে, যাদেরকে তোমরা রাজনীতিবিদ বলো। বিজ্ঞানী নামে ডাকো। নিজেদের স্বার্থ আর এক্সপেরিমেন্ট এর জন্য এরা সাধারণ মানুষদের টার্গেট করে। এর খেসারত দাও তোমরা পুরো মানবজাতি।"
চুপ করে থাকলো কিভ।
"আমার বয়স হাজারের উপরে কিভ। আমি অনেক কিছু দেখেছি, শুনেছি, জেনেছি এই হাজার বছরের জীবনে,যার সিকিভাগও তোমরা দেখোনি, শোনোনি বা জানোনা।"
চুলা থেকে মিষ্টি আলু নামিয়ে সেগুলার ছিলকা ছাড়িয়ে ফুঁ দিয়ে খেতে লাগলো থ্যানোস।
"আমি সবসময় ভেবেছি আমার মিশন শেষ হলে আমি এরকম একটা জীবন বেছে নিবো। আমার কাজের জন্য আমি একইসাথে আত্মতৃপ্ত এবং অনুতপ্ত! তখন আমি সঠিক ছিলাম। এখন আমি ভুল। সেজন্য আমি হাজারবার অতীতে ফেরত গিয়েছি আমার আমি কে ঠেকাতে। সংশোধন করতে। জনসংখ্যার ব্যালান্স অন্য উপায়ে করতে। কিন্তু তখনকার আমি এর কাছে এখনকার আমি বারবার পরাজিত হয়েছি। কারণ তখনকার আমার বিকল্প আর কেউ নেই। এখনকার আমিও তার কাছে নগণ্য..."
"আমার এখানে আসার কারণ কি? আপনার ইউনিভার্সের সাথে আমার ইউনিভার্সের কি সম্পর্ক?" কিভ জিজ্ঞেস করলো!
"মহাবিশ্বের সবকিছু একটা আরেকটার উপর নির্ভরশীল। ইন্টারলিংকড্। আমার ইউনিভার্সের ব্যালান্সিং থিওরি অন্য ইউনিভার্সে অন্য কারো মাথায় অন্য কোন ভাবে হয়তো খেলা করছে। সে হয়তো সেটাকে অন্যভাবে প্রয়োগ করছে। হতে পারে সেটা যুদ্ধের মাধ্যমে মানুষ মারছে। হতে পারে কোন মরণঘাতী ভাইরাস রিলিজ করে দিচ্ছে। হতে পারে কৃত্রিমভাবে দুর্ভিক্ষ তৈরি করে দিচ্ছে। ফলাফল একটাই। জনসংখ্যার ভারসাম্য, এবং তা অবৈধ উপায়ে!!"
"তারমানে আপনি জানেন আমার ইউনিভার্সের ভাইরাসের কথা??" অবাক হলো কিভ।
"অবশ্যই! কোভিড,ইপিড,ফিনিক্স,ব্লিড....সবকিছুর ব্যাপারে আমার জ্ঞান আছে কিভ। তোমার ইউনিভার্সের তুমি কেবল একাই নও যে আমার কাছে পোর্টালের মাধ্যমে এসেছে!! অন্যান্য ইউনিভার্সের অনেকেই এসেছে আমার কাছে, যখনই তাদের মানবসভ্যতা বিলীনের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিলো। আমার হাজার বছরের জ্ঞান আমি তাদের সাথে শেয়ার করেছি। পথ বাতলে দিয়েছি। তুমিও তাদের একজন কিভ। তোমাদের নাম ভিন্ন, কেউ (...........) হতে পারে, কেউ কিভ হতে পারে। কিন্তু সত্তা এবং আত্না একই!"
তড়িৎ গতিতে উঠে দাঁড়ালো কিভ!! তার সভ্যতাকে বাঁচাবার আশার আলো দেখতে পেয়েছে সে!!
"কিন্তু পোর্টালের ব্যাপারটা টা এখনো আমি বের করতে পারিনি। কেন আমার কাছেই পোর্টালের মাধ্যমে তোমরা ফেরত আসো। হতে পারে এই ব্রহ্মান্ডে ব্যালান্সিং থিওরির জনক আমিই। তাই এখানে একটা মাল্টিভার্স লুপ তৈরি হয়েছে। যেটার কেন্দ্র আমি...হয়তো এটা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত!!"
"থ্যানোস..আমি কি আমার সভ্যতাকে বাঁচাতে পারবো?? "
"কঠিন সিদ্ধান্তের জন্য দরকার হয় মজবুত ইচ্ছাশক্তির। তুমি যে সময় থেকে এসেছো, সেটা একটা কঠিন সময়। পুরো পৃথিবী তোমার বিপক্ষে চলে যাবে। প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি থাকলেই তুমি তেমার সভ্যতাকে বাঁচাতে পারবে। আর এজন্য লাগবে তোমার মতই ইচ্ছাশক্তির আরো অনেক কে। তুমি কি পারবে কিভ?"
"আমি প্রস্তুত।" দাঁতে দাঁত চেপে জবাব দিলো কিভ।
"বেশ... আমি নিজে পোর্টাল তৈরি করে আমার ইউনিভার্সে অতীতে বহুবার গিয়েছি ভবিষ্যৎ কে ঠিক করার জন্য। যে ব্যালান্সিং আমি করেছি, সেটা পুনরায় সঠিকভাবে করতে আমি ব্যর্থ। কিন্তু তোমাদের ইউনিভার্সে হয়তো সেই সুযোগ আছে। এটা নাও..." কিভকে একটা বক্স দিলো থ্যানোস। "আমি আগে থেকেই জানি আমার কাছে কোন ইউনিভার্স থেকে কে কখন আসবে। আমি আমার পোর্টালে করে সেখানে চলে যাই। ক্ষেত খামারি করি, আর তার জন্য অপেক্ষা করি। এই বক্সে কিছু তথ্য আছে যা তোমার সময়ের মানবজাতির জন্য হুমকি, এমন বিষয়ের রেকর্ড। তোমার টাইমলাইনে ফিরে যাও। দেরী হবার আগেই দোষীদের খুঁজে বের করো আর তাদের প্রতিহত করো। তোমার ইউনিভার্সকে বাঁচাও।"
কিভ বক্সটা নিলো। থ্যানোস একটা রিমোটের মত জিনিস বের করে প্রেস করলো। সাথে সাথে বাইরে একটা সাদা আলোর পোর্টাল তৈরি হলো।
"ধন্যবাদ থ্যানোস। আমাকে সাহায্য করার জন্য।"
"তোমাদের ইউনিভার্সে তোমাদের কাজের জন্য তোমারাই দায়ী কিভ। আজ যে জায়গায় বুড়িগঙ্গা ছিলো,সেখানে মরুভূমি। এমন অনেক জায়গাই তোমাদের কৃতকর্মের জন্য ধ্বংস হয়ে যাবে, যদি তোমরা সচেতন না হও। আমার কাজের জন্য আমি অনুতপ্ত। সেই দায়বদ্ধতা থেকে আমি তোমাদের সাহায্য করছি। তোমাদের যেন তোমাদের কাজের জন্য অনুতপ্ত হওয়া না লাগে। তোমাদের ইউনিভার্স তোমাদের হাতে। কিন্তু একটা কথা মনে রেখো কিভ, আমি যুগে যুগে আমার ব্যালান্সিং থিওরি নিয়ে থাকবো ভিন্নরূপে, ভিন্ন ইউনিভার্সে । আমি অনিবার্য!! I am inevitable!!!" দুই আঙুলে তুড়ি বাজালো থ্যানোস!! মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা নিয়ে পোর্টালে হারিয়ে গেল কিভ.....
**********
২০৮০ সাল। পুরো পৃথিবীতে সোরগোল পাকিয়ে গেছে!! বিজ্ঞানীরা মরণঘাতী বিভিন্ন ভাইরাস, ক্যান্সার, এইডস্ ইত্যাদির প্রতিষেধক সফলভাবে ল্যাবরেটরীতে প্রয়োগ করতে সফল হয়েছে। আজ প্রথম কোন ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের উপর তা প্রয়োগ করা হবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে একটা সংঘ এর বিরোধিতা করছে!! তারা কোনভাবেই এর প্রয়োগ করতে দিবেনা। পুরো সমাজ, পুরো বিশ্ব ঐ সংঘ কে ধিক্কার জানাচ্ছে!!! ছি ছি করছে! তাদেরকে সমাজের শত্রু বলে ট্যাগ লাগানো হয়েছে। আজ তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ সব হাজির হয়েছে!!
ঐ সংঘের প্রধান কিভ তার দলবল নিয়ে তৈরি। কারণ সে জানে, আজ যদি ঐ প্রতিষেধক কোন মানব শরীরে ঢুকে যায়, তবে তা ফিনিক্স পাখির মত আগুনে ধ্বংস হয়ে নতুন একটা মরণঘাতী ভাইরাস হয়ে জন্ম নিবে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যে মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দিবে। এই ভাইরাস মানুষের হিতাহিত জ্ঞান কে লোপ করে একেকজন কে জোম্বি করে তুলবে। চোখের নিমিষে ভাইরাস ছড়িয়ে যাবে গোটা বিশ্বে....
দাঁড়িয়ে আছে কিভ। সেনাবাহিনী ও পুলিশকে প্রতিহত করতে সে প্রস্তুত যে কেন মূল্যে,তা সে জীবন দিয়েই হোক না কেন...
কিভের ডান পাশে দাঁড়ালো তার আপন বন্ধু রকি। তার এক হাত মেটাল দিয়ে তৈরি!! সে হাতে একে১১৭ বন্দুক!! অন্য হাতে টাইপ ২৫ অস্ত্র !!
"তুমি তৈরি ক্যাপ??" কিভকে জিজ্ঞেস করলে রকি।
পিছনে তাকালো কিভ। সব তার সংঘের পরিচিত মুখ!! মেটাল বডি আর্মার নিয়ে বিল্ডিং এর ছাদ ভেঙে ল্যান্ড করলো টিমমেট অ্যান্থোনি!! "সময় মতোই এসেছি!!" বললো সে!
"On your left Captain!!" বাম পাশ থেকে স্পেশাল উইং স্যুট পরিহিত স্যামন দাঁড়িয়ে আছে। মুখে দৃঢ় হাসি!!
এগিয়ে আসছে সেনাবাহিনী!!! কিভের টিমমেটদের অনেকেই এখনো এসে পৌছায়নি! কিন্তু তারা আসছে....মানবজাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন আজ। মানুষরূপি থ্যানোসদের প্রতিহত করতে তাদের আসতেই হবে। থ্যানোসের কথা মনে পড়লো...কেউ (Steve) হতে পারে অন্য কোন ইউনিভার্সে, কেউ কিভ হতে পারে। কিন্তু সত্তা আর আত্মা একই!!!!
" AVENGERS ....." দাঁতে দাঁত চেপে নিজের হাতের ঢালটা শক্ত করে আটকালো কিভ....." ASSEMBLE......."
Comments