বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলির ভবিষৎ
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. ডেভিড ডল্যান্ড। তার প্রোফাইল পড়তে পড়তে মোটামুটি ক্লান্ত হয়ে গেছি। আর সব এড়িয়ে তার পিএইচডিটাই মনে ধরল বেশি—তিনি আঠারো ও উনিশ শতকের ব্রিটিশ উচ্চশিক্ষার ওপর পিএইচডি করেছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে।
এই রেজিস্ট্রার নিয়োগের আগে উপাচার্য নিয়োগ পেয়েছেন ভিনসেন্ট চ্যাং। তার অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি দুটো করে, কাজের অভিজ্ঞতা তো আছেই। আর আছে দুটো পিএইচডি। হার্ভার্ড, এমআইটি, কলাম্বিয়া, ইয়েলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে তিনি পড়াশোনা ও গবেষণা করেছেন।
এরা ব্র্যাকে যোগ দিয়েই ব্র্যাককে নতুনভাবে গুছিয়ে নিচ্ছেন। যার ফলাফল দৃশ্যমান হবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে। সম্প্রতি বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত খ্যাতিমান অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদকে ব্র্যাকে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিত্তাকর্ষক চিঠি দেন ব্র্যাকের উপাচার্য ড. চ্যাং। মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, তার চিঠির কথা এতই মূল্যবান মনে হয়েছে যে, আমি আর না করতে পারিনি।
একজন উপাচার্য স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারলে এমনই প্রভাবিত করা যায় মানুষকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য স্যার পি জি হার্টগ এভাবেই গোটা দুনিয়া ছেকে সেরা শিক্ষকগুলো নিয়ে এসেছিলেন। এর ফল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে পাঁচ বছরের মধ্যেই। গোটা দুনিয়ার আগ্রহে পরিণত হয়েছিল এ বিদ্যাপীঠ। এই ভূখণ্ডের উচ্চশিক্ষার ভিত বেশ শক্তভাবেই গড়ে দিয়েছেন পি জি হার্টগ ও তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আজ এই বিদ্যাপীঠের শতবর্ষে এসে সব গৌরবে ভাটা পড়েছে যখন, তখন ব্র্যাকের উদ্যোগ আবার আশার আলো দেখিয়েছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগের ফলে আরও যেসব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে তারাও সতর্ক হবে, ওরাও হয়তো যোগ্য ব্যক্তিকে আসনে বসাবে। নতুবা পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। একটা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এভাবেই মাথা তুলে দাঁড়াবে। আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মরতে থাকবে। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী যেমনটা বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উন্নতির শিখরে ওঠবে, আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধীরে ধীরে দেবে যাবে!
এই কথাগুলো এখন কারও বিশ্বাস হবেনা। কিন্তু এমনটাই ঘটবে। মিলিয়ে নিয়েন!
コメント