ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কি ধরণের বাঁশি বাজাতেন?
- Just Another Bangladeshi
- Dec 30, 2018
- 1 min read
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তিন প্রকার বাঁশি ব্যবহার করেন। তার একটিকে বলা হয় বেণু, অন্যটি মুরলী এবং আরেকটি বংশী।

বেনু অত্যন্ত ছোট,তাতে ৬ টি ছিদ্র থাকে। মুরলীর দৈর্ঘ্য প্রায় আঠারো ইন্ছি। যাতে এক প্রান্তে ১ টি, গায়ে ৪ টি ছিদ্র। বংশী প্রায় ১৫ ইন্ছি, তাতে ৯ টি ছিদ্র থাকে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রয়োজন অনুসারে এই বাঁশি গুলো ব্যবহার করেন। তবে আরেকটি বাঁশি আছে যা আরও বেশী লম্ভা, যাকে বলা হয় মহানন্দ ও সম্মোহিনী, আকর্ষণীও বলা হয়। এর চেয়ে যদি লম্ভা হয় বাঁশি সেটা আনন্দিনি। এই আনন্দিনি বাঁশি ব্রজ গোপবালক সখাদের অত্যন্ত প্রিয়। এর আর একটি নাম বংশুলী। এই বাঁশি গুলি কখনও মনিরত্ন খচিত থাকে।কখনও তা মর্মর দিয়ে তৈরী হয় এবং কখনো বাঁশ দিয়ে তৈরী হয়। বাঁশি যখন মনি রত্ন দিয়ে তৈরী হয় তখন তাকে বলে সম্মোহনী। আর যখন তা স্বর্ণ দিয়ে তৈরী হয় তাকে বলে আকর্ষনী।
বিদগ্ধ মাধব গ্রন্থে শ্রীল রুপ গোষ্মামী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বংশী ধ্বনির বনর্না করে বলেছেনঃ-
"শ্রী কৃষ্ণের বাঁশির অপূর্ব সুন্দর সুরের প্রভাবে শিবের ডমরু বাজানো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, প্রজাপতি দেব ব্রহ্মার চমকিত হয়ে গেলেন। সমস্ত দেব দেবীরা এমন সুন্দরের চেয়ে সুন্দর সুর শ্রবন করে ভগবানকে প্রনতি নিবেদন করেন মহা আনন্দে।অনন্ত শেষনাগ বাঁশি শ্রবন করে তার মস্তক আন্দোলন করতে শুরু করল। ব্রহ্মান্ড ভেদ করে বৈকুন্ঠলোকে ধ্বনিত হয়েছে।শ্রীকৃষ্ণের এই বাশির সুর শুনে সমগ্র বৃন্দাবনবাসী মোহিত হয়ে যেতেন। ছোট বড় সকল গোপ গোপীকেই আকর্ষণ করতো সেই সুর। এ যেনো এক অদ্ভুত দিব্য সুর, এ যেনো পরমাত্মার প্রতি আত্মার আকর্ষণ "।
Comments