top of page
Writer's pictureJust Another Bangladeshi

২০০১ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত যুদ্ধ

২০০১ সালের এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) (বর্তমান বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) মধ্যকার সংঘর্ষ যা দুই দেশের মধ্যকার দুর্বলভাবে চিহ্নিত আন্তর্জাতিক সীমান্তে সংগঠিত হয়েছিল। ২০০১ সালের ১৫ এবং ১৬ এপ্রিল সিলেট সীমান্তে পদুয়ায়, ১৮ এপ্রিল কুড়িগ্রামের রৌমারী এবং ১৯ এপ্রিল পুনরায় পদুয়া সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের সাথে বিডিআরের সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়। এই তিনটি যুদ্ধেই বাংলাদেশের সে সময়ের বিডিআরের সেনারা তিনটিতেই বিজয় অর্জন করে।


তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালক ছিলেন মেজর জেনারেল এ,এল,এম ফজলুর রহমান।

১৯৪৭ সালের বঙ্গভঙ্গের সময় ভারত ও বাংলাদেশের কিছু আন্তর্জাতিক সীমান্ত অমীমাংসিত থেকে যায় যা উভয় দেশই নিজেদের বলে দাবি করে। ইন্দো-বাংলাদেশি সীমান্তের অবস্থা ১৯০টি ছিটমহলের জন্য আরো খারাপের দিকে যেতে থাকে।

এর মধ্যে একটি বিরোধপূর্ণ এলাকা ছিল পাদুয়া গ্রামের কাছাকাছি একখন্ড ছোট ভূমি যার পরিমাণ ২৩০ একর। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত।১৯৭১ সালে জায়গাটি ভারতীয় সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ব্যবহার করত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ভারত এই ভূমি তাদের বলে দাবি করে কিন্তু ১৯৭১ সালেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী এখানে একটি ক্যাম্প স্থাপন করেছিল। সেই সময়ে বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল ছিল ও ভারতের ভেতর বাংলাদেশের ৫০টি ছিটমহল ছিল। পাদুয়া গ্রামটি ভারতীয় অধ্যুষিত ছিল, কিন্তু আইনত এটি ছিল বাংলাদেশের মালিকানাধীন ভূখন্ড (নতুন সীমান্ত চুক্তি ও জনসংখ্যা বিনিময়ের পূর্ব পর্যন্ত। জাতিগতভাবে খাসিয়ারা এখানে বসবাস করত।পরবর্তীকালে তৎকালীন বিডিআর-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ,এল,এম ফজলুর রহমানের একটি ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয় যেখানে তিনি দাবি করেন, বিএসএফ সে সময় পাদুয়ায় তাদের ক্যাম্প ও ১০ কি.মি. দূরবর্তী অন্য একটি ক্যাম্পের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য ‘নো ম্যান’স ল্যান্ড’-এ রাস্তা নির্মাণ শুরু করেছিল যেটি আসলে বাংলাদেশের সীমারেখার ভিতরে পড়েছিল।

২০০১ সালের এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমান বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। যা দুই দেশের মধ্যকার দুর্বলভাবে চিহ্নিত আন্তর্জাতিক সীমান্তে সংগঠিত হয়েছিল। ২০০১ সালের ১৫ এবং ১৬ এপ্রিল সিলেট সীমান্তে পদুয়ায় এবং ১৯ এপ্রিল পুনরায় পদুয়া সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের সাথে বিডিআরের সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়। এই তিনটি যুদ্ধেই বাংলাদেশের সে সময়ের বিডিআরের জোয়ানরা বিজয় অর্জন করে। ১৯৭১ সালের অর থেকে বাংলাদেশের অধ্যুষিত এলাকা পাদুয়ায় বিএসএফ নানা অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়েছে বলে বাংলাদেশ অভিযোগ করে আসছিলো। সর্বশেষে বিএসএফ সেখানে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন এবং ভারত-বাংলা সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী সেখানে রাস্তা বানানো আইন পরিপন্থি কাজ। বাংলাদেশ বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা রাস্তা বানানোর কাজ চালাতে থাকে। এমতাবস্থায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) পাদুয়া করে দখল নেয়। এই ঘটনার ২ দিন পর পাদুয়া থেকে ৮০ কি.মি. দূরে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে বিডিআরের বারইবাড়ি ঘাঁটিতে ভারি অস্ত্রসহ হামলা চালায় বিএসএফ। কিছুক্ষণ পর বিডিআর পাল্টা আক্রমণ শুরু করলে যুদ্ধ শুরু হয়। প্রায় ২ দিন ব্যাপী এই যুদ্ধে দুই বাংলাদেশি বিডিআর সদস্য নিহত হন এবং এর বিপরীতে ১৬ জন বিএসএফ সদস্য নিহত হন বলে ঢাকা থেকে জানানো হয়। পরবর্তীতে দিল্লি এবং ঢাকার মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসিত হয় এবং যুদ্ধ সমাপ্তি লাভ করে।

উভয় সরকার এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করার পরে উভয় পক্ষ তাদের মূল অবস্থানে ফিরে আসে এবং স্থিতাবস্থার পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করে।উভয় পক্ষ সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের জন্য আফসোস প্রকাশের মাত্র কয়েক ঘন্টা পরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল, কিন্তু ২০ এপ্রিলের মধ্যরাতের মধ্যে আবারও গুলি থামানো শুরু হয়েছিল। একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে ৬,০০০ ভারতীয় বেসামরিক নাগরিকরা এই অঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে এসেছিল এবং ভারতীয় সরকারী কর্মকর্তারা গ্রামবাসীদের তাদের বাড়িতে ফিরে আসতে রাজি করার চেষ্টা করছিলেন।পরের দিন বাংলাদেশ ১৬ জন নিহত ভারতীয় সেনাকে ফিরিয়ে দিতে সম্মত হয়। নিহত সেনাদের লাশ খতিয়ে দেখে ভারত অভিযোগ করেছে যে গুলি করে হত্যা করার আগে বিএসএফ সদস্যদের নির্যাতন করা হয়েছিল। অন্যদিকে তিন বাংলাদেশি সেনাও মারা গিয়েছিলেন: দুজন যুদ্ধের সময় এবং অপর একজন যুদ্ধ চলাকালীন আহত অবস্থায় মারা যান।

পর্যবেক্ষকরা বিভিন্নভাবে এই ঘটনাটিকে বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে জাতীয়তাবাদী অনুরাগকে বাড়িয়ে তোলার রাজনৈতিক চক্র বলে আখ্যায়িত করেছেন (যা ঘটার সময় থেকে ২ মাস পরে ছিল) এবং বিডিআর কমান্ডারদের দুঃসাহসিকতা বলে অভিহিত করেছেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে, বাংলাদেশ সরকার অস্বীকার করেছে যে তারা বিডিআর'র শত্রুতা শুরু করার পক্ষে সমর্থন করেছিল এবং এই ঘটনাটিকে "তার স্থানীয় কমান্ডারদের দুঃসাহসিকতা" হিসাবে অভিহিত করেছে।

তথ্য সূত্র প্রথম আলো ও উইকি।।

0 comments

Comentarios


Enjoy
Free
E-Books
on
Just Another Bangladeshi
By
Famous Writers, Scientists, and Philosophers 
click here.gif
click here.gif

Click Here to Get  E-Books

lgbt-bangladesh.png
bottom of page